অগ্নিগিরি লাভার উত্তাপ অন্তরমহল জুড়ে,
স্বস্তির বিশুদ্ধ সমীরণ আসে না কখনো উড়ে।
ধৈর্য্যের তারকাঁটা পোড়ায় অস্বস্তির দাবানলে,
বিবেকের করিডোর পিষে বিষাদের যাঁতাকলে।


চর্মচক্ষু একাত্মতা করে অন্তরাত্মার বিশ্বাসে,
বুকের পাঁজর কুরে খায় কষ্টদায়ক নিশ্বাসে।
ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বিস্তৃত পার্থিব কূলে,
নিন্দুকের বিদ্রুপের হাসি পেয়েছি জগতমূলে।


কষ্টের সৈকতে সাঁতরায় দিবস ও রাত্রিকালে,
নিথর মনের আলিঙ্গনে ময়লা জমেছে পালে।
বিকলাঙ্গ হৃদয়-পিঞ্জর হচ্ছে তপ্ত বালুচর,
বিকৃত মানবতায় ভাসে হতাহত কণ্ঠস্বর।


ঐশ্বর্য অট্রালিকার লোভে বিবেক হয়েছে ক্ষত,
মনুষ্যত্বের কবর দিয়ে ক্রমশ অকূলে রত।
আভিজাত্যের শাসনরীতি মানে না এই হৃদয়,
গোবরের বুকে পদ্ম ফুটে কীসে করি এত ভয়?


সন্দেহের বিষে পোড়ে যারা জ্যান্তই নিহত তারা,
অবিশ্বাসের সৈকতে ভেসে বিশ্বাসের তীরহারা।
বুকের জমিন খুড়ে দেখি ভরেছে কষ্টের ডালা,
শ্রেষ্ঠপ্রাণি হয়ে বয়ে যায় এ-বুকে অন্তরজ্বালা।