রোজার গুণে মুক্তি দিয়ো
ওগো রহিম রহমান,
তোমার নামে জিকির করে
ছুটছে নদী বহমান।


আচঁড় কাটে মনের কোণে
জগৎ ভরা রূপ দেখে,
সৃষ্টিকূলে রূপের খনি
দিয়েছ তুমি সব লেখে।


দিবা-রাত্রি তোমার প্রেমে
মুগ্ধ থাকি নর-নারী,
ক্ষমার চোখে দেখ তোমার
রোজাদারের এই সারি।


তোমার ভয় হৃদয়ে পোষে-
ভিক্ষুক এ জাতিকূল,
দো'জাহানের বাদশা তুমি
মরা বৃক্ষে ফোটাও ফুল।


ক্ষুধার রোদে পেট পুড়িয়ে
রোজা পৌঁছায় সেই দ্বারে,
তোমার দৃষ্টি পেলে আমরা
মুক্তি পাবো দুই পারে।


কবুল কর ও দয়াময়
ভাঙা স্বরের ফরিয়াদ,
তোমার কৃপা ছাড়া আমার
জীবন খেয়া বরবাদ।


পাপ প্রাসাদে করি বসত
নিত্য তাতে লেনদেন,
পুণ্য খাতা শূন্যে ভরি
পড়েনা তাতে হাইফেন।


মহা প্রলয় উঠবে যবে
রক্ষা করো দয়াময়,
রোজ-হাশরে শীতল ছায়া
রোজায় দিয়ো পরিচয়।


সজীবতায় রাজ্য হাসে
পেটের ক্ষুধা দেখো চিরে,
তোমার কৃপা পাবার ত্রাসে
পুড়ায় দেখ দেহ হিরে।


প্রার্থনায় বিভোর হয়ে
ঝরে আমার আঁখিজল,
রোজ-হাশরে দিয়ো প্রভু
এই জলের প্রতিফল।