সুখের প্রলেপে সংসার রাঙাতে, আজ আমি প্রবাসী।
নিজের রক্ত ঘাম ঝরিয়ে, ফোঁটাই স্বজনে হাসি।
আবদার ঘটি পূরণে,
হলে মৃদু দেরী,
প্রিয়তমা সঙ্গিনীর মুখে ঝরে বিষাদের বাণী।
তাই নিজকে সোপর্দ করেছি,কষ্টসহিষ্ণু দলে,
মাথার উপর চেপে নিয়েছি, শক্ত কাজের থোলে।
ঘামের ছদ্মবেশে রক্ত অনুচক্রিয়া হই নিসৃত,
স্বদেশী ঠাঁকুরের সম্মান, পরদেশে হয় বিকৃত।
তবুও শ্রম বিক্রিতে, পায়না ন্যায্য মুজুরী,
পরদ্বারে আসিতে মানুষ,
তবুও অতুল প্রহরী।
মায়ের মায়া সর্বদা,ক্ষত করে বক্ষ,
কমল মনা মেয়ের মায়া, করে আমায় দগ্ধ।
পাষান পাথর বসিয়েছি, মায়ারই কৌটায়,
তবুও সংগোপনে অশ্রুজ্বলের বাস, রয়েছে অথাই।
সময়ের ভারী যানে চড়ে,
রান্না খাওয়ায় বসেনা মোন,
ক্লান্ত নিয়েছে কেড়ে, হৃদয়ের সমস্ত আসন।
হাতছানী দিয়ে ডাকে, স্বদেশের মায়া,
প্রবাসের চেয়েও,স্বদেশের বুকে দু'মুঠো নুন ভাঁত খাওয়া,অনেক বেশি পাওয়া।  
তবু আমি স্বাধীন, নয় পরোদাশ,
মায়ের বুকে ঘুমায়,
চাই না কোন প্রবাসীর মত পরিহাস ।।।