মাঝি ও ঠাকুর
-নওশাদ আলম


ও মাঝি -ও মাঝি- শুনছো আমার কথা!
সারিং নদী পার করে দাও দিব দুটি টাকা।


পার করার জন্যইতো বৈঠায় দিয়েছি হাত,
সারিং নদী পার করার ন্যার্য মজুরী পাঁচ।


কেমন করে পার করিবো ওহে ঠাকুর মশাই?
বৌ,সন্তান দু'দিন উপুষ রয়েছে ঐ বাসায়।


পারের টাকায় কোন রকম ডাল ভাত জোটে,
জ্বর গাঁয়ে তাই এসেছি ছুটে সারিং নদীর তটে।


তিনটা টাকা থাকনা বাকি দিব অন্যদিন,
আগে কখনো রয়েছে নাকি কোন টাকা ঋণ?


জলদী করে পার করে দাও ওপার একটু আমায়,
টাকা ছাঁড়া করবেনা কাজ চিনি আমি তোমায়।


আপনি হলেন ঠাকুর মশাই টাকার মহাকুমির,
আজও আপনার মুখেদেখি খেচাল জিবহা তীর।  


ঠাকুর মশাই মুখটা দেখি গুমড়া কোরে তোলে,
অনেক কষ্টে সঞ্চিত ধণ ফেলবো নাকি জলে?


তোমার মত বেকুব মাঝি দেখিনি তো আগে,
আমার দেহ যাচ্ছে পুড়ে
তুমার কথার রাগে।


পাপ্য আমার পাচঁ টাকা তার বেশী না চাই,
আপনি হলেন কৃপণ ঠাকুর কে আপনাক রাগাই?


ঠাকুর মশাই আরও রেগে দেখায় টাকার পুটলী,
তোর মত হাজার মাঝি
কিনতে পারি বুঝলী।


অবশেষে ঠাকুর মশাই
ওপার হলো পার,
মাঝির পাওনা বাকী রাখলোনা সে আর।