প্রকৃতির রূপের রাজকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র-সৈকত,
নয়নাভিরাম সু-বিস্তীর্ণ দৃশ্যে দেখি পুলকিত পথ।
বিচিত্র রূপে সেজেছে কূল বালুকণার আঁচল ভরে,
লাল কাকড়ার লুকোচুরি,প্রেম উতলায় মনের ঘরে।


বাহারী শামুক ঝিনুকেরা সাজিয়েছে মুক্তর বাসর,
ধু-ধু পানির কৃণারে বসে শীতল সমীরের আসর।
ভ্রমন পিপাসুর খোরাক দিচ্ছে ঝাঁউবন একনিষ্ঠায়,
দখিনা সমীরণ সম্মুখে, সেজেছে বৈচিত্র্যের পৃষ্ঠায়।


বিভোর হয়ে নিশ্চুপ আঁখি মেলেছি অথৈ সৈকত বুকে,
উল্লাসিত কলকল ধ্বনির গীতি ধরেছে মনন সুখে।
সমুদ্র গর্ভে ঝাপুর খেলে দেখেছি চঞ্চলা মুক্তো হাসি,
রাজ্যের রূপ দিয়েছে স্রষ্টা সাগর কন্যাকে রাশিরাশি।
        
জোয়ার ভাটা করেছে গ্রাস সবুজ-শ্যামলের উদ্যান,
নারকেল বৃক্ষ খেয়েছে গিলে করেছে বমি ভেঙে গদ্যান।
টিপটিপ করে নাওয়ের শির জেলেরা ব্যস্ত মাছের জালে,
দেহের প্রদীপ বেধেছে কষে নাওয়ের মাস্তুলে উড়া পালে।


সূর্য্যের স্নান, সূর্য্যের ডুব জেগেছে হৃদে নব সকাল,
চতুর্ভুজে মনিহারি রূপে ভরেছে সৈকতের বিকাল।
হয়েছি আমি রূপের নহরী সাগর কন্যার প্রেমিক,
হৃদয়ের নয়ন মেলিয়া, দেখিবো তাঁর রূপ দৈনিক।