কোমল হাতে শ্রমের কালি দেখব আর যে কতদিন,
খাতা-কলম নেইতো হাতে কণ্ঠে বাজে দুখের বিন।
যায় না ঘটে পাঠের বাণী ধরবে কারা দেশের হাল?
জ্ঞানশূন্য মগজ দিয়ে ছিঁড়বে তারা দেশের পাল।
গ্যারেজ লটে করছে কাজ,ওরাও ছিল কোমলমতি,
নিজের পায়ে কুড়াল মেরে করছে তারা নিজের ক্ষতি।
হাতুড় ঝুড়ি, বাটাল নিয়ে দিন কাটায় ইটের লাটে,
পেটের ভাত করতে যড়ো সারা শরীর নুইয়ে খাটে। 
ওদেরও তো ইচ্ছা জাগে সবার মতো পড়তে বই,
কোথাই আছো আইনদাতা শিশুর শ্রম নিষেধ কই?
অকাল শ্রমে জলাঞ্জলি দিচ্ছে শিশু বুকের সাধ,
চক্ষুজুড়ে স্বপন পোড়ে দেয় না তখন কেহ বাঁধ।
আইন শুধু বইয়ে নেচে গাচ্ছে দেখি ভাষণ গান,
এই সুযোগে দেশের মাথা নিচ্ছে গিলে হাজার প্রাণ।
বুকের হাড় যাচ্ছে গোলে ইটের বোঝা মাথায় তুলে,
তবু মালিক ফোলছে রাগে,কাজ পারেনা বলছে খুলে।
কাজ হয়েছে অনেক কম খিটমিটিয়ে রাগ দেখায়,
শিশু শ্রমের কথা তুললে মালি তখন ঘাঁড় ব্যাকায়।
এমন শিশু হাজার খাটে আমার দেশে কারখানায়,
অকালে ফুল যাচ্ছে ঝরে বলো এখন কারে জানায়?
যার সমীপে করছি পেশ সেতো এখন ঘুমায় জেগে,
শিশুরশ্রম বন্ধ হবে জাগলে তিনি নিজের বেগে।