আকাশ-বাতাস চন্দ্র সুরুজ সব যে তোমার সৃষ্টি,
বিশ্ব জাহান নভোমণ্ডলী দেখতে দিয়েছো দৃষ্টি।
সবুজ শ্যামল বৃক্ষ শাখায় পরালে ফলের মুকুট,
সৃষ্টি জগতে রূপের বর্ষা রেখেছো নামিয়ে অটুট।


মুগ্ধ নয়নে নিজেকে হারাই সৃষ্টি নহরের ভিড়ে,
বালির ভিটায় দুধ সাদাফুল নৌকা নোঙর তীরে।
দখিনা সমীরে পরীর পাখায় পুষ্প বাজায় সানাই,
তোমার মহিমা দেখি আমি ঐ সাগরের মোহনায়।


সাগর সৈকত পর্বতচূড়া তোমার সৃৃষ্টি সকল,
সৌরজগৎ বিশ্বমণ্ডল করেছো সৃষ্টি সফল।
মাঠের থালায় স্বর্ণ ভুমিতে ফলেছে মুক্তোর মতি,
ঘাসের ডগায় শিশিরবিন্দু দেখায় হিরের জ্যোতি।


পুষ্প কানন গন্ধ বিলায় তোমার অনুমতি পেয়ে,
মৌমাছি দল মধুর সুধায় যাচ্ছে সংগীত গেয়ে।
কুসুম বর্ণ সূর্যটাও যে, উঠেছে তোমার কৃপায়,
তোমার মহিমা সিক্ত পৃথিবী নেইত অন্য উপায়।


যাঁর ইশারায় সৃষ্টি জগৎ ইবাদতে রয় বিভোর,
তোমার নামেই উৎসর্গ করি এই ধরিত্রী সফর।
যামিনীর বুকে জ্যোৎস্না জ্বালো উপগ্রহের ও তাপে,
তোমার মহিমা মহাসমুদ্র স্বার্ধ আছে কে-বা মাপে।


সৃষ্টিকূলের সব আয়োজন তোমার মহিমার রূপ,
তোমাই দেখার আকাঙ্ক্ষা মনে রেখেছি করে স্তূপ।
মন হেরে যায় সৃষ্টির রূপে দেখি যত চতুর্দিক,
রহমত দিয়ো ভিক্ষার থালে ভরে দিয়ো ক্ষমার ভিখ।