এক ফেব্রুয়ারির কোনোএক বৃহস্পতিবার
একটা তালপাতার হাতপাখা, একমুঠো চুড়ি__আর
জীবনবাবুর বনলতা এনেছিলাম খুব অল্পদরে
গল্পের ক'থা ছবিকে গবীর ভালোবেসে!
গহীন গতরে যতটুকু প্রেম ছিলো তারে একেবারে
উজাড় করে দিয়েছি সব অনায়াসে।


তারপর কত অমাবস্যা গেল, কেটেগেল নির্ঘুম অজস্রদিন; তারমাঝে পৃথিবী করেছে সূর্যকে কয়েকবার প্রদক্ষিণ ।
আমারও বয়স হলো ভারী । চুলে পাক ধরলো
কপালের মাঝে ভাঁজ কাটলো আর নাক
আগের মতোই কিন্তু মাথা জুড়ে ধরেছে জাম্বুরার মতো টাক!
আমি একদম ঠিক আছি অথচ মানুষ দেখে হাসে


আচ্ছা নদী ও নারীর পার্থক্য বলতে পারো'
বয়স বাড়লে নাকি উভয়ের সৌন্দর্য বাড়ে আরো ;
তুমি নিশ্চয় এখন শ্বাসত ঝর্ণার মতো
তালের শ্যামের মতো নখ-কোমল আঙুল,
শিমফুলের মতো চোখ: ধ্যাত আমার ধারনাই ভুল
তুমি এখন নারীর উর্ধ্বে পৃথিবীর অরুণ বয়সে!


আমার দেয়া তাল-পাখাটা অযতনে শুকিয়ে শুকিয়ে গোলাপের পাপড়ির মতো চেয়ে আছে; অদ্য-উজ্জ্বল তোমার কাজলরেখার মতন ঘুণে দাগ কেটেছে । তুমি এভাবে চলে গেলে আশ্বাসে, নীরবে__অন্ধকারে ডায়েরী    
পেয়েছি একটা মোড়কে বাঁধানো । এটা অবশ্য তোমারই 'সবসয়েও বেঁচে থাকতাম তুমি থাকলে পাশে! শেষের পৃষ্ঠায় লেখা ছিলো আনাড়ি