মোর        রাত জাগা স্বপনচারিণী!তারে দেখিবার লয়ে-
শ্রান্ত         মথুয়া-শ্যমলীমার বিজন গাঁয়ে,
মেঘ         গুরুম ঝুম-ঝুম বাঁদল দিনের ছল-ছল জলরাশি!
কলকল     বয়ে যায় নিয়ে আমা এ পারেতে আসি।
                
              পূবেল হাওয়ার ক্রন্দন-ধ্বনি,
              ঝরো-থরো বাতাসে বক্ষে আনি:
              উলসিয়া বিলসিয়া মোর প্রানে জাগে
              পবনের উর্ধ্বশ্বাসে;আর রাগে-অনুরাগে।
এ            পারেতে কূলে বসে মম সব ব্যাথা চেরে দিয়ে,
গগন        পানে আধারক্ষনে দিলেম লিখে শ্রাবন-মেঘের নায়ে


বিগূঢ়        মেঘে-মেঘে দূর্জটি-আধার টেনে খরবৃষ্টি নেমে-
অশোক     শিমূল-গায়েল হয়ে বুঝি ফুটবে তোমার মরমে!


               সে যে তুমি সিন্ধুর বুকে
               নীল প্রশান্তের উচ্ছ্বাস মেখে;
               নবলোকের ঔরসে মত্স্যকুমারীর
               ছবি আঁকো; আর মলীন তরঙ্গ পূরবীর!
তারা         হয়ে ফুটবে সে ছবি বহু নববধুর রূপের ছায়ে-
চাঁদের       কলঙ্ক ছারায়ে হাস তুমি তাদের খোঁপার বায়ে ।                      


               দু' চোখে মোর অজস্র স্বপন,  
               ক্ষুদা-কামনার ব্যরাতুর-যৌবন
               নিয়ে,চেয়ে থাকি সেথা ওপারেতে;
               আসবে তুমি দূর-বিভর-দিগ্বলয় হতে:
কল্পলোকে  দেখি তোমা অস্তপারে নত আকাশের গেরুয়া কায়
মোর         সজল চোখে ভাস তুমি  বকুলবীথিকা পল্লীবিজন গাঁয় ।


প্রেম          সত্য,তা বটে সুখী নয় ক'
               নয় পূর্ন চোখে-চোখ রেখে।
               হিত প্রয়াস;নিভৃত শ্রান্ত চিত্তে
               দেখিবো তোমা,দেখি কল্পনাতে:
হারিয়ে গেলেম আজ সন্ধ্যাতারার মাঝে অপেক্ষায় চেয়ে চেয়ে,
বাজিবে ধ্বনি দূর নবলোকে সুর ধরে তুমি আসবে গেয়ে গেয়ে।



________
   ২৪/০৩/১৭
অমর একুশে হল,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়