জিজ্ঞাসিল একদিন আমায় আমার ছোট ভাই
বৈকালেতে কোন লোভেতে আমি ঘুরতে যাই?
এ বেলাতে আপনাকে কেন চিন্তিত দেখা যায়?
উত্তরিলাম তাকে আমি শোনো ছোটো জন
রাস্তার ধূলো গায়ে মাখা বিশেষ প্রয়োজন।
ইট, গাছেরই সংখ্যা গণনা বড় কথা নয়
ভাবছ নাকি কুকুরগুলো কেন ফুসকা খায়।
বিচিত্র সব মানুষগুলো চর্ম চোখে দেখি
শিশু, ছোট, মাঝারি, বৃদ্ধ মারে উঁকিঝুঁকি।
বেপরোয়া কিশোরগুলো ক্রমেই নষ্ট হয়ে যায়
এ বিপদ থেকে উত্তরণের ভাবছ কী উপায়?
পথের ডানে, পথের বামে, সামনে-পিছে সবখানে
লোকের ভিড়ে আনন্দটা খুঁজি! নাইকো কোনখানে।
বৈকালের ঐ বাতাসটাও সীসা মাখা অক্সিজেন
তারা উষার হাওয়া মাখবে নাকো ঘুমের প্রলোভন!
উল্টো রাজার উল্টো দেশে উল্টো জনগণ
উল্টো পথেই করছে তারা সুখের বীজ বপণ।
ভোরবেলা পথের ধূলোয় স্বচ্ছ হাওয়ার স্পর্শ
বলব কাকে সবাই জানে মানে নাক,পায় নাকো হর্ষ।
মানুষ দেখি মানুষ দেখি, দেখি শহরটাই মানুষের
তার মাঝেও মানুষ পাবে নাকো ভেবে দেখ ঢের!
তাই? গণনায় দেখি আঠারো কোটি মানুষ
খুঁজে দেখ আসলে মানুষ নেই
মানুষ বাড়ছে, অর্থ বাড়ছে, বাড়ছে গাড়ির বহর
সকল দিকেই তাকিয়ে দেখি শূন্য এই শহর!
ভাইয়ে ভাইয়ে খুন, নষ্ট ভ্রুণ, কোলাহল লেগে আছে
সামনে যাব, ভালো রবো, তাকায় নাকো পিছে।
বেঁচে থাকি শুধু, প্রাণ আছে দেহে
এর নাম বাঁচা নয়
চারিদিকে দেখ লোভাতুর দৃষ্টি
ধর্ম নেই গণনায়।
তবে আপনি লোককে দেখে ভেতরের পৃষ্ঠা পড়েন?
আমাদের নিয়ে নতুন করে মানবিক দেশ গড়েন।
হাসালে মোরে, আমি কী করে এত বড় দায়িত্ব নিই
দেশের প্রধান নজর দিলেই হয়ে যায় সহজেই।
প্রতিটি ঘরে বদলাতে হবে অর্থ মোহের ঘোর
গড়তে হবে প্রত্যেক ঘরে মানবিকতার জোর!
অল্পতেই তুষ্ট থাকবো, সুন্দরভাবে বেঁচে রবো
এই মন্ত্র যদি সকলেই মেনে চলে,
নতুন করে এ শহর ছেয়ে যাবে না কলে।
বাড়বেনা ধূলো, বাড়বেনা গাড়ি, বাড়বেনা অট্টালিকা বাড়বেনা হিংসা, না জিঘাংসা, লোকমনে অহমিকা।
গরিবের হিসসা বুঝিয়ে দেবে তোমার সম্পদ থেকে
দেখবে তবে সম্প্রীতিতে তখন দেশটা গড়ে উঠবে।