তিন দশকের জীবনে কি দেখলাম,
মনোবৃত্তির জগতটাকে কতটা বুঝলাম,
নাকি শুধুই অভিনয় করে গেলাম?
জীবন সমুদ্রে কল্পনার ভেলা ভাসালাম!


ইতিহাসের পাতায় দেখি মহারানী হেমন্ত কুমারী
ভক্তকুলে চির মহিয়ান সারা রাজশাহী জুড়ে
আজও তাঁর নাম চির ভাস্বর, চির অবিনাশী।
যুদ্ধ করেছেন এই জনপদে সাহসী জাহাঙ্গীর
বীরশ্রেষ্ঠের মর্যাদায় চির নিদ্রায় শায়িত
এই ভূমে তার গুণগানে মুখরিত পদ্মাতীর।
এই জনপদের সূর্য সন্তান কামারুজ্জামান হেনা
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অটল অবিচল বীর যোদ্ধা
দেশ গঠনে তাঁর অবদানের হয়না কোন তুলনা।


কৃষক শ্রমিকের মুক্তির দূত রানী মা ইলা মিত্র
সারা জীবনের আন্দোলন সংগ্রাম‌ তাকে করেছে
এই বরেন্দ্র ভূমির আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র।
শান্তির দেবদূত হয়ে এসেছিলেন বাবা সুফি রূপোস
বরেন্দ্র ভূমিতে গেঁথেছিলেন  মুক্তির সবুজ পতাকা
হৃদয়ে প্রোথিত ছিল তার দীপ্ত চেতনা ও অসীম সাহস।


মাদারবক্সের প্রচেষ্টার ফল উত্তরের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ
শত শহস্র রথী মহারথীর পদচারণায় মুখরিত সদা
মতিহারের সবুজ চত্বরে জ্ঞানের দীপ্ত শিখা প্রদীপ।
এখানকার কৃতি সন্তান সেলিনা, মলয়, আজিজুল হক
সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নিবেদীত অতন্দ্র প্রহরী
তাদের ব্যতিত বরেন্দ্র ভূমির নতুন ইতিহাস লেখা অসম্ভব।


আরো কত আছেন জানা অজানা অজস্র রথী মহারথী
বরেন্দ্র অঞ্চলের উদার পথে প্রান্তরে ছড়ানো অমর গাঁথা
আজও তাদের করে রেখেছে ইতিহাসের ঝলমলে জ্যোতি।
তাইতো এই নিস্তেজ অপরাহ্নে বহতা পদ্মা নদীর মোহনায়
একলা বসে দৃঢ়কণ্ঠ অভিলাষ লালন করি শতত মনে প্রাণে
একটু ঠাঁই যেন গো পাই গৌড় বরেন্দ্রীর ইতিহাসের পাদটীকায়।


০৯ অক্টোবর ২০২২, রাজশাহী।