হে নারী
তুমি কোন বাঁধনে বন্দী,
কিসের ভয়ে ভীতি?
তুমিতো সর্ব সম্মানী ভুবনজয়ী
মধুর সেই বুলি "মা জননী"
তোমার তুললে তুলনীয় নায় কোনো প্রাণী।


তবে তোমায় নিয়ে কেন এত নিন্দা?
জাত সুবাদ লুকিয়ে কেনো চলছে ইজ্জত কেনাবেচা,
হানাহানি সংঘর্ষ তর্ক বিতর্কসভা?
রাজপথে কেনো ভাঙ্গছে হাড়ি বেলা অবেলা?
জানো না, নাকি জেনেশুনেই চলছে এতো বাহানা?


হে নারী
তুমি তুমাকেই কেনো দিচ্ছ সাজা?
শাশুড়ি হয়ে পুত্রবধূকে দিচ্ছ জ্বালা
পুত্রবধূ হয়ে শাশুড়িকে অবহেলা।
ক্ষুধার্থ কাকও সজাতির মাংসে ঠোকর মারে না।
জানো না, নাকি জেনেশুনেই চলছে এতো বাহানা?


বার হাত কাপড়ে যদি দেহ না আটে
তবে তোমার ছেলে তোমারি ভাই পালটে যাবে
আটকিয়ে যাবে ষোলকলার ফাঁদে।
অলিতে গলিতে সমালোচনা,
চলবে তোমায় নিয়ে রসিকতা।
জানো না, নাকি জেনেশুনেই চলছে এতো বাহানা?


হে নারী,
তুমিই পারবে ফিরিয়ে দিতে সেই শালীনতাসম্মত পৃথিবী।
তেমার গর্ভে জন্ম নিয়ে পৃথিবীর মুখদেখেছি,
তোমার বোলেই কথা বলি।
হে নারী,
তোমার দেওয়া আদর্শে মোরা আদর্শবাদী।
তোমার পরশে তোমারি সাজে সজ্জিত পৃথিবী।