পা আর পথের মাঝে
ধুলো মাখামাখি র সম্পর্কের হেতু
জানতে চাইনি কখনো!
ক্লান্ত বিকেলে;
আকাশের ঐ কাশফুল দের
পাখিরা যে কেন জ্বালাতন করে
তাও জানিনা আমি!
রাত দুপুরে বিধবা ষোড়শী
কেন কাঁদে!
কেন অসময়ে ঝড়ে পড়ে
ফুলের সতেজ পাপড়ি রা
জানা হয়নি আজও!
এমনকি; আজও হয়নি জানা
গাঁয়ের পথে লাজুক বঁধু
কেন অপলক দৃষ্টি ফেলে!
কি সুখ পায় কিশোরী বালিকা
নদীর জলে সাঁতার দিয়ে।
কি সুখ পায় ক্লান্ত পথিক
বটের ছায়ায়,
গানে গানে গলা সেধে।
বছর বছর সময় গেল
হলোনা জানা;
জোছনা রাত টা গভীর হলে
রাহেলা কেন তারা গোনে!
কেন আজো মতি পাগল
গান গেয়ে কেঁদে ওঠে
“ও মন- মনোরে... আমার!”
এখন আর;
বটের ছায়ায় কেউ গান তোলে না।
বাঁশির সুরে মন ভোলায় না।
অথচ; সব কিছুই অচিন রয়ে যায়
যেমন থাকে আপন আত্মা কে জানা।
কিন্তু বয়সের চাপে ঠিকই হয়
সময়ের শব্দ পতন।
বাতাসের তালে তরঙ্গ বাজে।
আর মৃত্যু ডাকে
আয়... আয়... আয়!
--------------