(প্রিয় নাহারকে লেখা কাল্পনিক পত্র)


ফের যদি পাই তোমার সাড়া
ছুটবো আবার গাঁয়ের পথে।
বর্ষা এলে বয়স ভুলে
ভিজবো আবার খোলা মাঠে।
গলা ছেড়ে গাইবো আবার
ভাসবো তোমার দিঘির জলে।
হংস আমি হতেও পারি
যদি পারো হংসী হতে।
দু-জন মিলে ভাসবো মোরা
ছন্দ হবে জলকেলিতে।


ফের যদি পাই তোমার সাড়া
ছুটবো আবার গাঁয়ের পথে।
বয়স ভুলে কিশোর হয়ে
খুঁজবো ডাহুক বেথুন বনে,
গাছের ডালে খুঁজবো ঘুঘু
মারবো শালিক গুলতি দিয়ে।


ফের যদি পাই তোমার সাড়া
ছুটবো আবার গাঁয়ের পথে।
নরম হাতে ছোঁয়ার নেশায়
রোজ সকালে বকুল তলে,
জোছনা রাতে বেল তলাতে
সুর তুলবো বংশী হাতে।


ফের যদি পাই তোমার সাড়া
ছুটবো আবার গাঁয়ের পথে।
ডিঙ্গি নিয়ে ছুটবো আবার
তুলবো শাপলা জলে ভিজে,
খেলার ছলে রাজা হবো
তুমি থাকবে মানস পটে।
আম জাম কাঁঠাল খাবো
হাসি মুখে গাল খাবো,
পড়লে ধরা মায়ের হাতে
ঠাসা করে মারও খাবো।


ফের যদি পাই তোমার সাড়া
রাখাল জেলে মাঝি হবো,
তোমার একটু হাসির জন্য
পাগল ছাগল স্ত্রৈণ হবো।
চাইলে তুমি এক নিমিষে
খোঁপায় গোঁজা গোলাপ হবো।


ফের যদি পাই তোমার সাড়া
তোমার পায়ের ধুলো হবো।
ঘামে ভেজা শাড়ি ব্লাউজ
বক্ষে রাখা সুতি রুমাল,
চাইলে তুমি হতেই পারি!
দিতে পারি সাগর পাড়ি।
ছুটতে পারি গাঁয়ের পথে
হাতটি যদি রাখো হাতে।