কবিতা!
কবিতা আমার ভাসায় জলে
শান্ত দিঘির জল।
ক্ষনে ক্ষনে দগ্ধ সময়ের
নোনা পানির ঢল।
কবিতা আমার জীবন বায়ু
ভূতলে খোঁজা প্রাণ।
কবিতা আমার রাখালের গাওয়া
সুরে বেসুরে তোলা গান।
কবিতা আমার কাশঁবনে ফোঁটা
আনন্দ উচ্ছাস!
বেদনা ভরা মায়াবী চোখের
কষ্টের জলোচ্ছাস।
কবিতা আমার গভীর রাতের
পরম তৃপ্তির ঘুম।
কখনোবা;
কবিতার অধর ছুঁয়ে
রাত কাটে নির্ঘুম।
কবিতা আমার শিউলি ফোঁটা
মুক্ত ঝরা হাসি।
ভোর না হতেই সব হারিয়ে
মুখ লুকিয়ে কাঁদি।
কবিতা আমার
সবুজ ধানের হিমেল সু-বাতাস
কখনোবা;
কৃষাণীর বুক ফেটে যাওয়া
প্রীয় হারা হা-হুতাশ।
কবিতা আমার
কিশোর ছেলের দারুন অবুঝপনা
যত হোক ভুল;
দরদী মা করে দেন মার্জনা।
কবিতা আমার রুপোলী চাঁদের
গর্ভছেড়া আলো।
বলেছিলে তুমি আমৃতকাল
বেসে যাবে মোরে ভালো।
কবিতা আমার পায়ে চলা পথ
ধুলো ঘাম মাখামাখি।
জ্বলে ওঠা সূর্যের দ্রোহকাল শেষে
মেঘেদের ডাকাডাকি।
কবিতা আমার পিচ ঢালা পথে
রক্তে ভেজা শরীর।
স্বপ্ন ছেড়া কত যে বাদল
খেয়ে যায় গড়াগড়ি।
কবিতা আমার
ছোট্ট শিশুর জ্বলজ্বলে চোখ
মন ভোলানো হাসি।
আলুথালু বুক করে ধুকপুক
কোথায় লূকিয়ে রাখি।
কবিতা আমার ধর্ষিত নারীর
প্রতিধ্বনিত চিৎকার।
বিচারকও যেন মানবিকতা ভুলে
যৌবনে তোলে শিৎকার।
কবিতা আমার
রক্তদোষে উজ্জীবিত কন্ঠ,
মেকাপ পড়ে বর্বর হলো
সাধের গনতন্ত্র।
কবিতা আমার দারুন সাহস
বুক ফুলিয়ে বলা।
প্রহারে পেষণে চুপষে গিয়ে
ঘরকুনো আর বোবা।
-------------------