এ-ই বীভৎস সময়ে ;
রেটিনা ঠিক থেকেও যারা অন্ধ
কথাগুলো তাদের জন্য।
কর্ণ থাকা সত্ত্বেও যারা বধির
কথাগুলো তাদের জন্য।
তৈল মর্দন করতে করতে যারা
প্রজন্মের শক্তিমান্‌ কবির দাবিদার,
কথাগুলো তাদের জন্য।
চোখে কালো চশমা পড়ে
অনবরত লিখেছেন যে লেখক,
কথাগুলো তাদের জন্য।
শুধুমাত্র স্বার্থ চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েন যে নেতা
পরম আবেশে চোখ মুদে যিনি
মখমল ভেজান যৌবনের দাবিতে,
কথাগুলো তাদের জন্য।
অনুগ্রহপূর্বক আপনাদের মনের চোখ খুলুন, দেখুন।
কর্ণ পাতিয়া শুনুন পাথরের চিৎকার।
যে বোন আজও ধর্ষিত হয়
হোটেলের নির্জন রুমে কিংবা রাস্তায়,
আপনারা তার চোখের দিকে তাকান।
ঝরে পড়া জলের মধ্যে চিৎকার শুনতে পাবেন।
আপনারা তার রক্তের দিকে তাকান
আগামী প্রজন্মের হুংকার শুনতে পাবেন।
সংসারের দায় মেটাতে না পেরে
বেওয়ারিশ লাশ হচ্ছেন যে পিতা,
আপনারা সেই পিতার দিকে তাকান।
অসংখ্য লাশের মিছিল দেখতে পাবেন।
মনে হবে যেন তারা পথ রোধ করে জানতে চাইছে
বলুন, কি আমার অধিকার?
আপনারা শ্রমিকের ঘর্মাক্ত পিঠের দিকে তাকান
মনের চোখ খুলে দেখুন;
অসংখ্য মজদুর লাঠি নিয়ে ছুটে আসছে
প্রশ্ন একটাই, কি আমাদের অধিকার?
প্রয়োজনে ; চোখের কর্নিয়া পাল্টে দেখুন
সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তান হাতে তুলে
প্রশ্ন ছুড়ছেন একজন মা।
কি তার অধিকার?
কতটা নিরাপদ তার জীবন?
হ্যাঁ; জানতে চাই আমিও তাদের কাছে।
যারা ভদ্রতার মুখোশে কলুষিত করছেন সমাজ
মানুষের আদলে যারা রক্ত চুষে খান জীবনের।
দ্রোহের শব্দে আমি কেন লিখবো কবিতা?
আমি কেন প্রিয়ার ওষ্ঠে ঠোঁট রেখে স্বপ্ন দেখতে পারি না।