হে দেহ, হে প্রাণ, কে তোমার স্পন্দন কবি!
কে দিল এ দেহে বসি! কে এই অদৃশ্য ছবি?
তুমি আমায় শক্তি যোগাও তাই তো আমি চলি
আমার এ রূপ – সে যে তোমারই প্রেমের তুলি।
তোমার মহিমা হাত বাড়ালো
এ নিখিলের প্রভাত আলো,
ক্ষণিক বেলার আপন যারা
গগণ পানের অরুণ রবি-
প্রিয়-প্রেয়ষীর প্রেম  আজ উড়েছে ডানা মেলি।
তবু কেন পথিক পথ হারা!
কেন অঙ্গ শিরা –উপশিরা আপনের বিরুদ্ধে তারা
সেদিন প্রিয়ের প্রতিকুলে প্রিয়া…
আপন আপনাকে চিনবে না হিয়া.
দেহের এ প্রাণ  লুকিয়েছিল তোমার মহিমায়.
সে বুঝেনি হে প্রভূ তোমার উপহার !
তুমিই আমার মাঝে আসি
বাঁজিয়েছিলে এক মহিমার বাঁশি,
আমার দাসত্বের যা আয়োজন
বুঝ দাও হে প্রভূ এ ক্ষণিক ভুবন।
আমি যে আমার নই
আমার মুক্তি এক তুমি, তোমার প্রিয় বন্ধুর  পথ
দেহের এ রূপ- সে যে তোমাকেই পাবার  শপথ।
হে দেহ, হে প্রাণ, কে তোমার স্পন্দন কবি!
কে দিল এ দেহে বসি! কে এই অদৃশ্য ছবি?
-------------------------------------------