একদিন যুবককে দাঁড়িয়ে সামনা সামনি দেখলাম
শুধুই ভয়ঙ্কর রূপ দেখা যায়,
কোন আলোর প্রতিফলন প্রতিসরণের বিধি নিষেধ জানা নেই তার
সেই দিন থেকে আর কোন প্রত্যাশা করি না ।


মায়ের অমৃত স্বপ্নের লালিত লাল-সবুজের নিচে
আজ যুবকেরা নেশার ভুবনে ছুটেছো তো ছুটেছে
কত প্রহর অহেতুক ইন্টারনেটে ডুবে থাকে অনৈতিক কর্ম্ যজ্ঞে
সজল শৈশবে, দুরন্ত কৈশোরেই যবনিকার দ্বার প্রান্তে
যুবকের দুরন্তপনা আজ কবর হয়ে গেছে-
অনেক প্রহর গড়িয়ে গেল সেই হারানো ঐতিহ্য আর ফিরে আসে না!
জীবন্ত লাশে লাশে মুড়িয়ে আছে এ বাংলার পতাকা
এ কোন বাংলাদেশকে দেখছি আমি?


সাধকের সাধনা আজ চলেছে বাতিলের মঞ্চে
কারন্ডারীরা মিথ্যা প্রলোভনের ফাঁদ পেতে রেখেছে যুবকের চারিদিকে
ওরা শপথ ভেঙ্গে চলেছে অবিরত
বিচারক নিশ্চপ !
বিনা বিচারে নিরাপরাদ আসামীর ফাঁসি
একদিন আলো ছিল যুবকটির দু’রেটিনার সীমিত সীমনা,
অথচ আজ প্রাণের স্পন্দন ঘিরে এক যমদুতের পায়চারি


কি করুণ চিত্রে আঁকা জীবনের চারিদিক !অনিশ্চিতে ভরপুর!
যুবক আজ ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,কারো কারো অনিষ্টের হাতিয়ার
ক্ষরণের লাল স্রোত নিরবে নিভৃতে বহে যাচ্ছে অমীত স্বপ্নে.
পিতারা নির্বাক, মায়েরা অশ্রুসজল, জাতির স্বপ্নেরা বঞ্চিত
যুবক এক জীবন্ত লাশ!


এ ব্যর্থতার দায়ভার কে নিবে হে কান্ডারী?
কুশাসন,বিচারহীনতা, অনৈতিক কর্মযজ্ঞ কি দায়ী নয়?
এতসব এলোমেলোর মাঝে যুবক কি করে আলোর মুখ দেখে?
হে কান্ডারী প্রকাশ্যে যুবকটিকে যোগ্য করে তুলো।
এ পরাজয় যেন না আর কখনো দেখি।
----------------------------------------