জ্ঞানীরা দেখছে যে, অজ্ঞেরা উলঙ্গ, তবুও
জ্ঞানীরা বাহাবা দিচ্ছে।
জনতা চেঁচিয়ে বলছে, শাবাশ, শাবাশ!
কারো মনে লোভ,কারো তোষামোদি;
সত্যেরা নিজের মর্যাদা মিথ্যের কাছে নতিস্বীকার করেছে;
সম্মান পরবাসী, মুক্তি
পরাজিত প্রাথী, অযোগ্য উল্লাসিত;
ভদ্রতা ভাবছে, ন্যায়েরা সত্যিই অন্ধ চক্ষু, বিচারকেরা
দেখছে না যদিও তবু আছে,
উঁচু শ্রেনীদের থাকাটা কিছু অসম্ভব নয়।
ক্ষমতার গল্পটা দুর্বলেরা জানে।


কিন্তু সেই গল্পের ভিতরে
শুধুই রক্তে লেখা চিঠি- নির্মম নির্যাতন!
আপাদমস্তক বৈষম্য, ফন্দিবাজেরা রক্ত চোষা …
প্রেম থাকে না যেখানে
শুধু বঞ্চিত মানুষের হাহাকার !
সত্যবাদী ,সরল সাহসী ,প্রতিবাদী-মৃত্যুর পদযাত্রী!


কবির মানবিক কবিতা প্রকাশ্যে রক্তে রক্তে রঞ্জিত.
মুর্খেরা করতালি দিচ্ছে মুহুমর্হু!
ভীড় লেগেছে
বিদ্রোহীদের তাবুতে..
কিন্তু সেই নৈতিকতাকে আমি
মায়ের যত্নে আজ কোথাও দেখছি না ।


প্রেম কোথায় গেল? অসভ্য মুর্খেরা কি তাকে
দুনীর্তির কোন গুহায়
লুকিয়ে রেখেছে?
নাকি সে জাহেলী যুগের অধর্ম্ খেলতে খেলতে
ছদ্মবেশী হয়েছে
কত দুরে সেই মুক্তি!
এ প্রাণ জানতে চায় স্বাধীনতা কোথায় ?
মুক্তি এসেছিল একবার ১৬ ডিসেম্বর,১৯৭১।
ওগো , তাকে যে করেই হোক
ফিরে আনো ।
হে গণতন্ত্র, তোর মুক্তি কোথায়?
শুধুই রক্তে লেখা চিঠি- যে দিকে তাকায়!


-----------------------------------