হে বিপ্লবী কবি,বিপ্লবেও তুমি জাগ্রত এক প্রিয়া,
ওরা বুঝল না তুমি যে ছুটেছো মুক্তির মশাল নিয়া!
মানব কল্যাণে আমরণ তুমি যুদ্ধ করে গেলে-হে কবি
স্পন্দনকে ব্যাথিত করলে, তবু নত করলে না মুক্তির দাবী ।
ঐ যশ- লোভী ,ঐ অন্ধ ,অজ্ঞ, নতজানু ভীরু দলে
তুমি বীরদর্পে রণে বারুদে বিজয় নিশান উড়ালে,
প্রেমের জ্যোতি ছড়ালে কবিতার সুর লয় তালে.
করোনি বরণ দাসত্ব, দেওনি বির্স্জন আত্ম-সম্মান,
তুমি এক চির জাগ্রত কলম সৈনিক নির্ভিক পালোয়ান।
তুমি মিথ্যেকে সত্য বলে কবিতা লিখনি কভু, তাই
ওদের বিচারে তুমি জাগনি, তবু তোমাকে দমাতে পারে নাই!
এ অপমানকে তুচ্ছ করোনি,ভেবেছো বিজয়ের কান্ডারী
সম্মুখ ছুটেছো, অভিরাম ছুটেছো-হে কবিতার প্রহরী!
কে দিবে আঘাত? কে জাগাবে দেশ? কই সে সত্যপ্রাণ?
হে কবি,
তুমি প্রত্যুয়ী, তুমি সত্যের পূজারী, তুমি মিথ্যের বলিদান!
তুমি প্রেমিকার প্রত্যাশা কর না, প্রেমকে ছড়িয়ে দাও প্রেমিকার হৃদয়ে
জাগ্রত কর অমনুষ্যত্তকে, সাম্যের জানালা খুলে দাও নির্ভয়ে।
হে কবি, তুমিই পার জাগাতে এ প্রাণে প্রেম
লোভী,অজ্ঞ, অন্ধ, বধির, বাতিলের আছে কি দাম ?
হে কবিতার প্রহরী, এ কবিতাকে বাঁচাবে কে?
---------------------------------------------