প্রভাতে ওঠে সবে খেত তেতো মিলে
জিলাপী খৈ মুড়ি আরো কত নিলে
হাল খাতার ধুমধাম
চলতো বণিক পালে ।
বায়না ধরে খুশী হত  হাতে কিছু পেলে
হৈ হৈ রৈ রৈ ছুটত দলে দলে
ছেলে মেয়ে নবীণ প্রবীণ নতুন পোশাক গায়ে
হাতে খেলনা মুখে বাঁশি কিনত ঘুড়ি যেয়ে
ঐ দুর মিলন মেলায় নাঁচতো বৈশাখ পেয়ে
ধর্ম্ বর্ণ্ নির্বিশেষে ভাসত বন্ধন নায়ে
বোমা বাজি ফটকা বাজি নাহি পেত কভূ
অভয়চিত্তে ফিরত বাড়ী যখন রবি নিভূ
ঐ ছেলে ঐ  মেয়ে উল্লাসে তবু ।
বৈশাখের মিলন মেলায় আসত যেন প্রভূ !
সেই অতীত নাইতো আর বৈশাখীর ছলে
সার্ব্ জনীণ ভাবে তবে  পান্তা-ইলিশ খেলে ।
বাঙ্গালীর মিলন মেলা একি হল হালে !
গরীবের স্থান নেই ওদের কুঁটচালে ।
সারাদিন রঙ্গে ডংগে ছুটে নৃত্যের তালে
হৈ হৈ রৈ রৈ দুষ্টের আবডালে ।
কত নেশা- কত কি - অবিরত চলে
ওঁত পেতে দুষ্টজনে নারীর পোষাক খুলে
ঐ সেই গেল কই - অতীত বৈশাখ ফেলে ?
দুষ্ট চক্রের নব্য ধারা একি মায়ের কোলে !
হুজুগের  পান্তা-ইলিশ বৈশাখী জালে !
ঐতিহ্য সেই হারিয়ে আজ
চলছে কোন ভুলে?
চাই চাই পেতে ঐ - যাহা অতীত ছিলে ।
লাল-সবুজের বাঙ্গালী ফিরুক মৈত্রীর ডালে ।
দূর হউক পান্তা ইলিশ  বৈশাখ মাসে এলে ।
       ------------