কি দরকার ছিল তোর
ঐ লোভী ডানায় উড়া ?
অপমান অপদস্তে তুই যে আজ ন্যাড়া!
যৌবনের আবডালে নাহি পাই তোরে আর
একি দেখি ঊষার মাঝে মলিন মেঘে ঢাকা
শুভ্র মুখখানি তোর বসন্তের দাগ কাটা ।
কিসের জন্যে এত তোর আকুতি?
ওহে যাকে আমি এত ভালবাসি !
সেই কবে পরিচয় নাহি ভুলি আজও- ওহে তপসী
হৃদয়ের গহবরে খুঁজে ফিরি
তাই নাহি ভাবি দোষী ।
তবুও ঐ রবির কিরণ লুকিয়ে খেলে কালো মেঘে ঢেকে
দিবসের আলোয় নাহি জাগিস আর প্রভাতেরই ডাকে
নাহি ফিরিস আর আমাদেরই গ্রহে সেই উজ্জ্বল দহে
ঐ দীপ্ত শিখা নাহি পাই আর নাহি আর বহে ।
একই মাল্যে থাকিতিস তুই জড়িয়ে গলা সবের
দিতি সুবাস ছড়িয়ে পাঁপড়ি জাগিতিস সুপ্ত ভোর ।
দূর্ব্ল মনে তীব্র গতিতে তুলিতিস পাল হেসে
কর্মের নৌয়ে বাইতিস দাড় উত্তাল তরঙ্গে ভেসে
ঐপারে মাঝি করিতিস নোঙ্গর নিত্য দিনের তরী
তবে কেন তুই?
হঠাৎ উল্টো পথে হয়েছিস ফেরারী !
তোকে ভালবাসে জানি ঐ যত আছে জ্ঞাণী গুনি
কি অপরাধ তোর নাইবা গেলাম শুনি !
যতটুকু জানি বিচারকে অসীন মহান ব্যক্তি তিনি
হয়তো আছে তোর কোন গ্লানি  নিতে হবে তাহা মানি
কি দরকার ছিল তোর এই পথে হাঁটা দীপ্ততা ফেলে!
কি নেই তোর ভিতর –বাহির জীবনের নৌ পালে?
ওরে ভালবাসি তোরে পাগলের মত শুভ্রটুকু এনে
হয়েছি ব্যথিত নাহি যাই ভুলে সত্যটুকু জেনে ।
বলিব শুধু এতটুকু তোরে
জগতের মোহ নহে চিরতরে
শুধরে নেরে আগমীর পথে গত টুকু ছেড়ে ।
----------------------