সুপ্ত নিখিলে তপ্ত শিখা মেলছে যত পাখা
মানব ভুলে যাচ্ছে ওঠে গ্রহের শীতল রেখা ।
ঐ গগণে মেঘের ভেলা হরেক রঙে আঁকা
ঋতু চক্রে নিষ্ঠুর খেলা ছুটছে দৌড়ে বাঁকা ।
প্রখর রৌদ্দুর অগ্নি শিখা নিচ্ছে চুষে জল
মরূ চর অনাবৃষ্টি ঝরছে গাছের ফল ।
সুপ্ত নিখিলে তপ্ত শিখা মানব সৃষ্ট ধূঁয়া
আনছে ঐ কার্ব্ন বিষ-করছে প্রাণ খোয়া ।
ওঠছে কেঁপে যত্র তত্র ভুবন পিঠের ছায়া
মাতৃভুমি ঐ দাঁড়িয়ে চলছে মাঝির খেয়া ।
চমকা ঢেউয়ে তরিয়ে তরী অথৈ জলে ছৈ
উর্ধ্বের ছোবল সবুজ  তেড়ে কত কিছু ঐ
সুপ্ত নিখিলে তপ্ত শিখা যেন তেন সেই
রক্তের হোলি হানাহানি হিংস্র রূপে এই ।
স্বার্থ্পর মানব যত কুট কৌশলের ছলে
কেউবা ধর্ম্ কেউবা অন্য অভিন সুরে চলে
মাতৃভূমির শিকড় ছেড়ে ভ্রান্ত প্রেমে উড়ে
আঁচল ঘেরায় লাল-সবুজ হীন স্বার্থে পুড়ে ।
হুজুগ তুলে অন্ধে মোহে অমানিশা এনে
ঐতিহ্যের এই মায়ের কতক তিক্ত বিষ বুঁনে ।
সুপ্ত নিখিলে তপ্ত শিখা দুষ্ট চক্রের বেগে
ক্ষমতা লোভী স্বার্থ্পর ঐ দেখিনি আগে ।
জ্ঞাণী নেতা বিজ্ঞ জন মাতৃভূমির টানে
রক্তদানে বিলিয়ে প্রাণ জাগত সকল ক্ষণে ।
সেই রণের বীর সেনানী আজও মনে ভাসে
কষ্টে পাওয়া স্বাধীন বাংলা--
কেন আজ নাশে ?
গড়রে ”মা”কে আপন রূপে প্রকৃতিরই বেশে
সুপ্ত নিখিলে তপ্ত শিখা ছুঁড়রে তোরা হেসে ।
------------------