কত আকুতি করেছি তোমার দুরন্তপনার কাছে
এখন রক্ত শূন্য, যেমন প্রাণহীন দেহ
দুরন্ত  উত্তাল  লক্ষ গাড়ী অজ্ঞ চালকের হাতে,পথের বাঁকে বাঁকে
নিমিষেই দৌড়ে তোয়াক্কা না করে, তবু চড়ে বেড়ায় নিত্যদিন!
এ পথ এমনি ভয়ঙ্কর! কেউ জানেনা ফিরবে কিনা আপনের নীড়ে
কত আকুতি করেছি, তোমার দুরন্তপনার কাছে !


লাশ দেখে ভুলি কি করে রক্তের বান, অমূল্য প্রাণের বলিদান
কে দেবে ফিরে?এমন অকাল মৃত্যুর প্রতিদান !
স্বাধীন বুকে যদি মৃত্যুর পরোয়ানা চলে- কে বাঁচাবে তবে!
এ হেন সাহস কার আছে বল ?
নিরাপদ সড়ক দিবে, বলে যাও ,বলে যাও
আপন নীড়ে ফিরবে সবে, বলে দাও ,বলে দাও


রাস্তার দুরন্ত গাড়ী, জল্লাদের মতো প্রাণের রস
চুষে নেয়, শরীরের চঞ্চলতা থেমে দেয় নিষ্ঠুরের মতো।
বড় ভয় হয়! বড় ভয় হয় !রাস্তার জল্লাত দেখে !
বাস ট্রাক অটো মিনি আরো কত বাংলার পথ ঘাটে
চেয়ে দেখ ,চেয়ে দেখ !
কত আকুতি করেছি,তোমার দুরন্তপনার কাছে !


স্বার্থ্ গোষ্ঠির পাশে হাত রেখে রাস্তার জল্লাত মেতে ওঠে
দুমড়ে মুছড়ে  কেড়ে নেয় কত সতেজ প্রাণ !
নিয়মনীতি তোয়াক্কা করে না জল্লাদের অভিভাবক ।
যম দুতের ভয়ঙ্কর অগ্রাসন আহবান করে —মৃত্যুর ঘন্টা !!
কবে শোধরাবে জাতির এই দৈন্যদশা ?
কত আকুতি করেছি, তোমার দুরন্তপনার কাছে !


কপালের নিচে আজ হত ভাগ্যের রক্ত ক্ষত
প্রাণহীন দেহ নিয়ে অকাল ঝরেছি বাংলার পথ ঘাটে
রক্ত ছিটানো লাল-সবুজ প্রান্তরে- আমি দূর্ভাগা
মৃত্যুর ঘন্টা শুনি !
রাস্তার জল্লাত ঐ আসছে ধেয়ে- এই বুঝি নিবে প্রাণ !
-------------------