কেউ জানে না এপ্রিল ফুল দিবসটির  সাথে কি এক নিষ্ঠুর
ও হৃদয়র্স্পশী ইতিহাস জড়িত!
কেউ জানে না এই বিজাতীয় অপসংস্কৃতির কী  দীর্ঘশ্বাস !
যে বিশ্বাসের মধ্যে  ছলনার পর ছলনা
আর মুসলমান নিধনের এক নির্ম্ম পরিহাস!
অগ্নি শিখা যেখানে তীব্র খেকে তীব্রতর
মনোবেদনা সেই ঘান পাউডারের ট্রাজিক মলাট;
রাজা ফার্ডিন্যান্ডের এতো ছলনা, এতো নিষ্ঠুরতা , কে জানতো!
জীবন্ত দেহের এই দগ্ধতার চেয়ে জ্বলন্ত অগ্নির ব্যস্ততা
আর কোথাও নেই,
বিশ্ব মানবতাকে পদদলিত করে ঐ মানুষ নামের পশু ফার্ডিন্যন্ডি
আগুন লাগিয়ে দেয় মসজিদগুলোর চার পাশে
এবং মধ্যসমুদ্রে ডুবিয়ে দেয় নৌযানগুলোকে।
অগ্নিদগ্ধ ও পানিতে হাবুডুবু খাওয়া লক্ষ লক্ষ নারি পুরুষ
আর নিষ্পাপ শিশুর আর্ত চিৎকারে ভারি হয়ে উঠে
স্পেনের আকাশ বাতাশ।
মুহূর্তের মধ্যে নির্মমভাবে নিঃশেষ হয়ে যায়
সাত লক্ষ মুসলমানের তাজা প্রান।
আর পৃথিবীর ইতিহাসে রচিত হয় মনবতা লঙ্ঘনের নির্মম অধ্যায় ।
এমন লেলিহান শিখা, প্রজ্জলিত তাপ দাহ ও যমদুতের গর্জ্ন!
হঠাৎ একসঙ্গে অবরুদ্ধ মুসলমান যদি মসজিদ ঘরে কেঁদে ওঠে
কিংবা যদি অথৈ সাগরে তলিয়ে দেয় !
মানবতা হবে কৃষ্ণবর্ণ, তার চেয়েও বিষণ্নতা নেমে আসবে
মুসলমানের চোখে নিয়তই জল ঝরবে তবু ফিরে আসছে না ।
এপ্রিল ফুলের ভেতর কতো যে জীবন্ত লাশ, স্তুপ পড়ে আছে
কতো যে ক্রন্দন, মুসলমানের হাহাকার, মৃত্যুসংবাদ
মানবতার বুকের মধ্যে ব্যথিত কলংকিত ইতিহাস
আর নির্ম্ম নিষ্ঠুর দানবীয় সভ্যতা ।
একেকটি মুসলমান এপ্রিল ফুলের ভ্রান্তে কীভাবে নিজেকে হেরে দেয় ?
একেকটি এপ্রিল ফুলের মধ্যে  মুসলমানের কত যে দীর্ঘশ্বাস
কত যে পরাজয় , মুসলমান জানে না ।
-------------------------