যৌবনের দুরন্তপনা দেখেছি বারবার। দেখেছি, যৌবন
বড় শান্ত স্থবির নয় । যৌবনের গভীর ভিতরে
ধবংসে-সৃজনে
জয়-পরাজয়
শিরা-উপশিরায়
ভীষণ যুদ্ধ চলে; বীর্যের নিমেষে স্বপ্নের উত্থান
গর্জনের প্রতিধ্বনি হয়।যৌবনের গভীর ভিতরে
যত না সৃজন, তার বহুগুন বেশী উম্মাদনা ।
যৌবনের রূপ দেখেছি বারবার। সেখানে কখনও
কেহ যেন ভ্রান্ত দর্শ্ন আর মাদকদ্রব্য নাহি দেয় ।
দেওয়া ধবংস; তার কারন সেখানে
কিছু যুবক, কিছু যুবতী
অতি উৎসাহী বটে, কিন্তু আলোহীন
তরুণেরা সৃজনের কান্ডারী, যৌবনের দুরন্তপনায় তারা
যেমন উগ্রীব, তত পালোয়ান, বিবেকহীন নিষ্ঠুর।
যৌবনের প্রেম দেখেছি বারবার। সেখানে রূপের,অর্থের
অহঙ্কার সীমাহীন। সেখানে বাহ্যিক রঙের
দাঙ্গায় নিহত হয় অগণীত প্রেমিক- প্রেমিকার হৃদয় ।
আজ কাল প্রায়শই উগ্র উম্মদনার ভেলকুনিতে
কত স্বপ্নের অকাল মৃত্য দেখেছি ।
চক্ষু বিস্ফোরিত, দেহ ছিন্নভিন্ন, বুক!
তখনও কি উষ্ণ ছিল তরুণ-তরুণীরা?
কার অশুভ ছায়া যুবক যবতীর স্বপ্নে ছিল,
কে দিয়েছে মরন অস্ত্র, কে দিয়েছে মাদক নেশা?
কে হত্যা করেছে তাদেরকে, কিছুই জানি না।
কিন্তু যুবাদের শিরা-উপশিরা এগিয়ে তখন
ভ্রান্ত দর্শনে কেন গিয়েছিল?
এবং বিজয় কেন যৌবনকে দেখেই
অত্যন্ত নীরবে
আচমা ফিরিয়ে নিল মুখ?
যৌবনের উগ্রতায় আরও কত প্রাণের অকাল মৃত্যু হবে?
--------------------