তর্জনী আর মধ্যমার ফাঁকে জ্বলে উঠেছে জীবনের সূর্য
বুকের উজাড় ভিটায় বয়ে চলেছে লু -হাওয়া
বিগত মিছিল
আর খুব পরিচিত তামাটে মুখগুলো
প্রতিটি স্বেদ বিন্দু
বুভুক্ষা কবিতার পঙক্তি
সারেসারে এসে টুপ করে ডুবে যায় মদের গেলাসে!
স্লোগান খচিত ভার্জিন পেপার পুড়ে-
গঞ্জিকার সুতীব্র ঘ্রাণ
তর্জনী আর মধ্যমার ফাঁকে চাষাবাদ-
এক নষ্ট ফুলের বাগান!
নষ্ট ঠোঁট,নষ্ট নখ,নষ্ট হয়েছে পাড়া
দু'চোখ বেয়ে রাত্রিচরে নষ্ট নদীর ধারা
আমি কেমন নষ্ট হলাম-
নষ্ট কষ্ট পুষে
ক্ষমা কর ধরিত্রী মা,
মিছেই বয়স বাড়ছে আমার-
তোমার স্তন্য চুষে।
তর্জনী আর মধ্যমার ফাঁকে প্রকৃষ্ট অন্ধকার
কখনো উঠানে আছাড় খেয়ে ওঠে কুমারী চাঁদ
বিবস্ত্র প্রেমিকার মতো!
অদ্ভুত নিঃসঙ্গতার মৈথুন
পুতিগন্ধ বীর্য মোঁছে
রূপালি জ্যোৎস্নার বান
আর প্রেমিকাদের ঘরে উঠে অনাদিকালের ধান!
নষ্ট মাঠ,নষ্ট বীজ,নষ্ট কষ্ট পোষে
আমি বড্ড ক্লান্ত হলাম-
দুঃখের জমিন চষে।