রাস্তায় স্লোগানে স্লোগানে ওরা ভুখা নাঙ্গার কথা বলে গেল,
ফুটপাতের সংসারে একটু পর ক্ষুধা নাববে;
একটু পর রাত হলে ল্যাম্পপোস্টের হলদে আলো উপেক্ষা করে-
গলিতে, অট্টালিকার ছায়ায়,পার্কে ঝোপের আড়ালে শুতে যাবে কেউ কেউ;
সদ্য কৈশোরের যোনিপথে বীভৎস রক্তক্ষরণের বিনিময়ে-
যোনি ও বুক ঢাকার কাপড় কিনবে,দুটো ভাত খাবে ফুলি।
ফুড কর্নার,সিনেপ্লেক্স,কর্পোরেট ইমারতে রঙিন বাতি
পতঙ্গের মতো টানে মানুষকে,যাদের রক্তেও পারফিউম।
মিনিস্কার্ট মামনিদের তকতকে চামড়ায় সভ্যতার জৌলুশ দেখে,
সিটি বাজাবে গলির নেশাখোর বদখৎ তরুণ;
নখদন্তহীন এই সব প্রাণী-
হাতের তালুতে নিজেকে ডলেই পুড়িয়ে ধোঁয়া করে দেয়
এদের কেনাবেচা করেই আসে ওই সব পারফিউম,
ওই সব রঙিন পোশাক,মন্ত্রীর গদি।
ওই সব তকতকে ভবনে রঙিন পানিতে রাতেও নাবে সূর্য;
বগলে বারনারী নিয়ে মার্সিডিজ হাকিয়ে ঘরে ফিরবে-
এই সভ্যতার সুশীল কবি।
জ্যান্ত মরে যাওয়া কয়েকটি প্রাণী একটু আগেই হেগে দিয়েছে-
পেচ্ছাপে ভাসিয়ে দিয়েছে ফুটপাত,
নগ্ন সমাজের মতো উদলা হয়ে গেছে পাছার কাপড়!
ভনভন করে জুটে যায় মাছির চাক,
শরীরের ক্ষতে পুঁজ ঝরে-
ডাস্টবিন ভেবে ভুল হয়;
হরিপদ কেরানিমার্কা মধ্যবিত্তরা নাকে রুমাল চেপে
দ্রুত পায়ে ছুটে যায় বাসস্টপে,
মানুষ কেমন বাদুড় হয়ে যায়।
মাছেভাতে সন্তান উৎপাদনের লক্ষ্যে ছোঁয় না আগুন,
অথচ ওদের ঘরেই আগে আগুন লাগে।