নদী পথে নেই কোন পর্বত-মরু,
জলাশয়ে থাকে তার দুইদিক সরু।
জলে আর ডাঙায় মিলিয়ে বাঁধন,
থামিবে ঘাটে যখন চলার সাধন।
নোঙর ফেলিবে ঘাটে কত শত,
থামা আর চলা চলিবে অবিরত!
গলুইয়ের বুকে যাত্রী চরণ ফেলে,
যাত্রীর কোলাহল ঘাটে এসে গেলে!
কোষা, খেয়া, পানসি, সাম্পান, ভেলা,
ছিপনৌকা, বজরা আর ডিঙির মেলা!
গলুইয়ে বসি করি কত কথার গাঁথা!
রচিত গল্প-কাহিনী পাতার পর পাতা।
মাঝি হয়ে হাল ধরি পাছা-গলুইয়ে,
জলকেলি কর তুমি আগা-গলুইয়ে।
সরোবরে মাথা তুলে সাপ ছুটে যেমন,
নৌকার গলুই তুমি ছুটে চলো তেমন!
দেহখানি জীর্ণ মোর তবু সোনার নাও,
তুমি বসে গলুইয়ে পবনের বৈঠা বাও!