যৌবনের ঊষা লগ্নে দেখেছিলাম তাকে
প্রথম ভাল লাগার দৃষ্টি দিয়ে।
দেহখানা তার মাদক কান্তিময়,
বিকশিত পদ্মফুলের মত স্বর্গীয় মুখ,
চপলা হরিণীর মত আঁখি দুটি,
মেঘের মত ঢেউ খেলানো একরাশ কালো চুল,
অধর যেন তার গোলাপের পাপড়ি,
শুভ্র কপোলে টোল পড়া হাসি,
কলা পাতা রঙের শাড়ির আঁচলে
মালা গাঁথার ফুল।
প্রভাত রবির প্রথম দ্যুতি পড়েছিল তার মুখে।
প্রচণ্ড ভাল লাগার প্রথম সন্দর্শন।
সেই থেকে প্রতীক্ষার প্রহর গুনি
হৃদয়ের অব্যক্ত কথা বলার।
দেহের প্রতিটি রক্ত কণিকা পেতে চায় তার স্পর্শ,
তাকে ছুঁতে চাই অসহায় লতার মত,
প্রহরায় রাখি তাকে-
রাঙা প্রভাত থেকে রক্তিম গোধূলি পর্যন্ত।
যেমন করে কালপুরুষ পাহারা দেয় সপ্তর্ষীকে।
তাকে পেতে চাই যে কোন মূল্য!
কাঁটার যন্ত্রনা সইতে পারি,
দুর্গম পথ পরিক্রম করতে পারি,
মাটির পাহাড়ে সিঁড়ি কেটে তুঙ্গে উঠতে পারি,
অকুল পাথারে সাঁতার কাটতে পারি।
শুষ্ক হৃদয় মরূদ্যানে আজ বৃষ্টির জন্য হাহাকার প্রার্থনা!
বৃষ্টি এলেই ভিজবো দু’জন,
ভিজবে সাথে ফুল আর পাতা!
বৃষ্টির জলে ধুয়ে পবিত্র হব আমরা।
সেই সাথে নিষ্পাপ হবে ধরণী!