প্রেয়সীর আঁখিতে ঝিলমিল শ্রাবণধারা,
আমার বুকেতে ঝরঝর রক্তের পারা।
তোমার যৌবনে মিশেছে মেঘের ছায়া,
আমার যৌবনে জ্বলে বিদ্রোহের মায়া।
হাসি-কান্নার পাল্লা ভেসে যায় রণে,
লিখিনু প্রেমের কবিতা—পেলাম রক্তপাতের ক্ষণে।
শার্টে লাল ইতিহাসের চিহ্ন,
একাত্তরের জ্বালা অক্ষরে অক্ষরে অদ্ভুত রিহ্ম।
মিছিলের গর্জনে শব্দ হয়ে ওঠে ছন্দ,
"স্বৈরাচার মুছে ফেলো!"—জ্বলে অগ্নিগ্রন্থ।
গ্রাফিতিতে আঁকা ৩৬ জুলাইয়ের রাত,
গণভবনের দেয়াল কাঁপে শোক-শপথের গাথ।
তবুও ফিরে আসি তোমার নীলিমায়,
যেখানে প্রেমের নদী, বিদ্রোহের বাঁধভাঙা ব্যথা—
এক পঙ্ক্তিতে জল, এক পঙ্ক্তিতে শিখা,
আমার কবিতা এখন ক্ষুধার্তের মিছিলে-মুখরিত গীতা।