গতির অগ্নিশিখায় দগ্ধ হয় অস্থির চৈতন্য,
তবু অনাদি অনন্তে জাগে অন্ত্যজের প্রান্তর—
যেখানে বিপ্লবের প্রতিমূর্তি ভঙ্গুর হয়,
সেখানে প্রেমের মন্দিরে জ্বলে অক্ষয় দীপাধার।
কালের করাল গ্রাসে লীন হয় ব্যক্তিমানবের ইতিহাস,
কিন্তু মাতৃরন্ধ্র থেকে উৎসারিত যে অমৃতধারা—
তা স্থাপিত করে চিরন্তনের সমীকরণ,
যেখানে সমান শিশুর প্রথম কান্না আর শেষ শ্বাস
দেখো! যে নারী রন্ধ্রে রন্ধ্রে বুনেছিল ভবিষ্যতের স্বপ্ননির্মাণ,
তারই করতলে আজ অঙ্কিত হয় মহাকালের জ্যামিতি—
প্রতিটি রেখা এক একটি সমান্তরাল বিশ্ব,
যেখানে প্রেম ও মৃত্যু সমবৃত্তে ঘূর্ণমান।
স্থিতিশীলতার এই স্তবগানে মিশে আছে—
অস্তিত্বের টেনশন, সার্বিক অবক্ষয়, আর
অপার সম্ভাবনার স্পন্দন:
একইসাথে শূন্যতা ও পূর্ণতার মহাযাত্রী।
তাই, আজও এই দুঃসহ গতির মাঝে,
আমার চোখ আবিষ্কার করে সেই অনড় বিন্দু—
যেখানে সমস্ত পরিবর্তন এসে মিলায়,
যেখানে প্রেম ক্রিয়া এক পরম সম্ভাবনা।