তীব্র আকাঙখা বুকে নিয়ে তোমার উপেক্ষার পালা গুনতে গুনতে কাটিয়ে দিলাম- গত শদাব্দীর প্রায় সব ক'টি পূর্ণিমা;
তবুও কড়া নাড়িনি তোমার বন্ধ কবাটে;-
করে গেছি বিরামহীন অপেক্ষা,


তোমার মাড়িয়ে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে;
দেখেছি কীর্তনখোলার ঘোলা জ্বলে- ভাসমান একফালি চাঁদ কেমন যেন দোদুল্যমান!!!


রাতের ধুসর আকাশকে আলোকিত করে রাখা চাঁদের দিকে তাকালে বুঝতে পারি,-
কীর্তনখোলার ঘোলা জ্বলে ভাসমান চাঁদ,
তারই সহোদর হবে হয়তোবা!!!


কিঞ্চিৎ দৃষ্টি ঘুরিয়ে পৃথিবীর স্থবির হয়ে থাকা পথের দিকে তাকাই;
আশ্চর্য!!!
সহসা বাতাস উড়িয়ে নিয়ে গেল পথের অবশিষ্ট ধুলিকণা গুলোকেও!!!


নি:সৃত দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হয়- হৃদয়ের গ্লানিতে,
এরপর- আরও একটি অববাহিকার সৃষ্টি হয়-
আমার চোখের পানিতে;


এরকম আলোকিত রাতে স্মৃতির অন্ধকার জানালায় উঁকি দেই,-আরও একটিবার।
যেখানে খন্ড খন্ড ধুসর স্মৃতি কেবলই বয়ে আনে উত্তপ্ত দীর্ঘশ্বাস;
পুরোনো সেই বসন্তের দুপুর আর কিছু একরোখা প্রতিজ্ঞা;
একটি, দু'টি, তিনটি......ক্রমাগত


সহস্র বছর পাড়ি দিয়ে, হঠাৎ হোচট খাওয়া;
এসব বিলুপ্তপ্রায় পথের সীমানায়- চোখে পড়ে বিস্তীর্ণ নগরী;
যা আমার কাছে সম্পূর্ণ অচেনা,অজানা..
যুরাসিক যুগে যা ছিল দেদীপ্যমান,
আজ তা কেবলই ধ্বংসস্তুপ।