তুমি কে? যে আমাকে প্ররোচিত করো?


দূর্বার ঝড়ের মত আমার এ গতি মন্থনে তোমার অনুপ্রবেশ আমি পাষাণের মত ভেঙে দিতে চাই!


তুমি কে? যে আমার ইচ্ছাতে বাঁধা দেবে?


অশুভ কল্পনায় মিশ্রিত আবেগের গোলাবারুদে ঠাসা এ হৃদয়ে একটা কামান পুশে রাখি আমি,
দুঃখবিলাসী হয়ে সুখের স্বর্গকে নিজেই করে দিতে চাই নরকের বিভিষীকার অনলে পুড়িয়ে ছাই!


তুমি কে? যে সে কামানের বিষ্ফরণ থামিয়ে দেবে?


দিন শেষে নিরবতা ভেঙে বাস্তবতায় মিলিয়ে যায় আমার স্বপ্নচারী মৌন মেশিনগান।
আমি দিশেহারা পথিকের বেশে দিকবেদিক ঘুরে ঘুরে আমার ছায়াকেইতো চিনতে পারলাম না আজও!


তুমি কে? যে আমার ছায়া হয়ে থাকতে চাও?


আমি অলক্ষকে লক্ষ ভেবে চেনা পথ ভুল করা এক বাস্তববাদী যুবক,
আমার কথার শ্রুতিমধুরতা কাঠিন্যের বর্বর ধাঁধাঁয় পদতলিত হয়েছে বারবার,
কেউ আমাকে থামাতে পারেনি আজও-


তুমি কে? যে আমাকে থামিয়ে দেবে?


যে প্রানের স্পন্দনে ফুলেল স্পর্শ লেগে থাকতো তখনও-
যে মানুষ ভুলের পথে করে দিতে চায় বিশ্বকে লন্ডভন্ড আজ,
আকারে ইঙ্গিতে যে মানুষ বুঝাতে চেয়েও পারেনি হৃদয়ের রক্তক্ষরন,


তুমি কে? যে তার দুঃখ ভুলিয়ে দেবে এক নির্মিশেষে?


২৪/০২/২০২০
জয়দেবপুর, গাজীপুর।