পূর্ব পাড়ার গনেশ কাকা
বহু বছর থাকে ঢাকা
কাকি থাকে বাড়ি,
ঢাকা থেকে প্রতি মাসে
কাকাবাবু বাড়ি আসে
সঙ্গে আনে শাড়ি।


সেটা দেখে গিন্নি আমার
বলে তোমার স্বভাব চামার
নইলে ঠিকই দিতে,
আমি বলি শোন তবে
স্বভাব কীসে ভালো হবে
গিন্নি হলে তিতে!


অমনি মাইক ওঠে বেজে
জ্যান্ত যেনো খাবে ভেজে
ধমকে বলে চলি,
আমি তখন বলি তারে
বসো এসে আমার ধারে
দেখো না কান মলি।


গিন্নি বলে চোখের জলে
ফেলবে যদি এমন কলে
করলে কেন বিয়ে?
গনেশ কাকার বধূর কাছে
কীসের মধু কীরূপ আছে
দেখে আসি গিয়ে।


রওনা হলো এটা বলে
নিজের দু'টি নয়ন ডলে
পূর্ব পাড়ার দিকে,
নাহি দেখে উপায় কিছু
নিলাম শেষে বধূর পিছু
বদন করে ফিকে।


গনেশ কাকার বাড়ি ঢুকে
দেখি দু'জন মনের সুখে
গল্পে মেতে আছে,
দেখে সেটা পিছন দিয়ে
অমনি আমি লুকাই গিয়ে
গোয়াল ঘরের পাছে।


গনেশ কাকার গিন্নি বলে
বাঁধলে স্বামী ইঁদুর কলে
দিলে বাঁশের ঠেলা,
পরান ভরে তখন তুমি
পাবে শুধু স্বামীর চুমি
জমবে প্রেমের খেলা।


তখন আমার গিন্নি বলে
আমি তো মা তলে তলে
কম মারি না বাঁশ!
তবে কেন উল্টো হয়ে
আমার বেলায় যাচ্ছে ক্ষয়ে
হচ্ছে সর্বনাশ!


কাকি তখন চুলায় গিয়ে
বিশাল বাঁশ'টি হাতে নিয়ে
বলে দেখো চেয়ে,
সাইজ মতো বাঁশ যদি হয়
তবেই তোমার ঘটবে বিজয়
আনবে শাড়ি ধেয়ে।