কেমন অদৃষ্ট তুমি?
তোমার চিত্তভ্রংশরা মনস্তাপ বয়ানে অগস্ত্য হয়ে যায়
             আবিষ্ট ঠিকানায় আলো আঁধারির
          মনস্তত্বে আর ধরনীর শোকার্ত আবরণে
          নিয়তির যাতাকলে এঁকে দিয়ে চলে যাও...
আমি নষ্টামির ভ্রান্তিকূলে বদ্ধ বিন্দু বা আঁধারের ভীতস্ত                                                                                                       জোনাকির ধ্বংস স্তুপে বিলীয়ে যাওয়া
            আনন্দ বেদনা নিঃস্ব হয়ে বয়ে চলি বাধ্য হয়ে,
                পুঞ্জিত কামনা বাসনালব্ধ ধরণী তটে।


                           কেমন অদৃষ্ট তুমি?
তোমার বিধ্বংসী উন্মুক্ত মনটা বুভুক্ষ দানবিয় উত্তাপে
মিটিয়ে দিয়ে যায় মনস্কামের সম্পৃক্ততা,
         তোমার নির্মম কষাঘাতের ক্ষতে শরিত্রী বশ্য
অথচ পরাস্ত নিঃশ্বাসে বিদ্রোহের তুষের আগুনের
লেলিহান শিখা দগ্ধ করে যায় সমস্ত কল্পনা থেকে পুঞ্জিত চেতনা।


                        কেমন অদৃষ্ট তুমি?
              কৃত্তিঃ আরম্ভের প্রাম্ভকালের ক্ষণে
        মমত্বের দুরন্ত জ্বালায় যে জননী শোকের অতলে
পুত্র হারিয়েছে,তুমি মোহিত দাহের খেয়ালে তার লাঞ্ছিত
হৃদয়টাকে অধঃপাত করেছো,
                অথচ মুমূর্ষু ও আত্মসিদ্ধির পরিত্রাণ
                           ঢের ভুলে গেছো
         কারো চাওয়া পাওয়ার দিকে নজর দাওনা কখনো
     অজস্র ধিক্কারের আর্তনাদ, পাশবিক অত্যাচারের শ্মশান
           আর বিদগ্ধ মনের আকুতি আজো উত্তর খোঁজে,
                           কেমন অদৃষ্ট তুমি?