থাকতো যদি এই ফেসবুক সকল প্রাণীর মাঝে
জেনে রাখুন কীরূপ পোস্ট কে দিতো সকাল সাঁঝে,
লিখতো তখন তেলাপোকা,"এইমাত্র আমি
তোমার দয়ায় বেঁচে এলাম ওগো দয়াল স্বামী।


একটু হলেই চাপা পড়তাম মটু লোকের পায়ে
এই আতঙ্কে সকল সময় নুন ছিটে ধায় ঘায়ে,
এই যাতনা ফিরাও প্রভু, তোমার চরণ চুমি
কেনো এমন ঝুঁকির জীবন দিলে বিধি তুমি?"


বিড়াল লিখতো,"আজ সকালে ঘটে গেলো যা
সেই ঘটনায় আমার মনে বাড়ছে শুধু ঘা,
ঘটনাটা আমায় শুধু বয়ে আনছে লাজ
অদ্ভুত এই ঘটনাটা কেনো ঘটলো আজ?


সাত নম্বর বাচ্চাটা আজ জড়িয়ে ধরে গলা
বললো কেঁদে," মা জননী আর করো না ছলা,
আজকে তোমায় বলতে হবে আমার বাবা কে
একটি হুলো আজকে এটা প্রশ্ন করেছে।"


এই কারণেই অশ্রু চোখে আসছে ক্ষণেক্ষণে
বলবো ওকে কেমন করে আমারও নেই মনে।
মশা লিখতো উত্তেজনায় চমকে যাচ্ছে পিলে
আমার দেহে কেনো প্রভু এইচআইভি দিলে?


কোন মানুষের রক্ত খেয়ে এই ব্যামোটা পেলাম
টেস্ট না করে কেনো আমি রক্ত খেতে গেলাম?"
ছাগল লিখতো,"কোরবানি ঈদ পার হয়েছে ভাই
যার কারণে আমার মনে স্বস্তি খুঁজে পাই।


এখন থেকে আমি সদা থাকবো সুখে মেতে
শান্তি মতো এবার আমি পারবো বাইরে যেতে,"
মুরগী লিখতো,"কালকে যদি স্ট্যাটাস না দেই
তবে তোমরা বুঝো আমি এই ধরাতে নেই।


নিশ্চিত থেকো আমার গন্ধ শুঁকছে তখন মাছি
বুঝে নিও রান্নাঘরের রোস্টের ডিসে আছি।"
বাঘে লিখতো,"একজন আসছে বন্দুক নিয়ে কাছে
যেই করেছি হালুম আমি, দৌড় মেরেছে পাছে।"


বাদুড় লিখতো,"সারাদিন তো ঝুলি সিধা হয়ে
আজ কিছুক্ষণ উল্টা হতেই যাচ্ছে হৃদয় ক্ষয়ে,
চরণ রেখে উপর দিকে মাথা নিচে রেখে
আমি যেনো আপন চোখে ছিলাম পর্দা মেখে।


উপর দিকে মাথা নিতেই দেখছি একি আজ
মানুষেরা উল্টা হাঁটছে, কী তামাশার কাজ!"
উঁকুন লিখতো,"যার মাথাতে আমি বেঁচে থাকি
আশ্রয় দাতা মারলে তাকে জীবন বলে নাকি?


আজ চিরুনি দিয়ে উনি চালান অভিযান
কপাল গুনে ফাঁকা দিয়ে বাঁচিয়েছি প্রাণ।"
টিকটিকিতে লিখতো তখন,"বেশ করেছি আজ
দরজা চিপায় ফেলে মারে, এটা কেমন কাজ?


তাই তো বাথরুম সেরেছি আজ টাক মাথাটার পরে
নিত্য দিনই প্রতিশোধটা নেবো এমন করে।"
ভাবছি যখন এসব কথা বসে গতরাতে
প্রাণীর হাতে ফেসবুক গেলে এটাই হতো তাতে।


অমনি তখন আমার হৃদয় বলে চরম রোষে
"অকারণে পরচর্চা করিস কেনো বসে?
ফেসবুকে পোস্ট তোরাও তো করিস আবোলতাবোল
তবে কেন ওদের নামে বাজাচ্ছিস এ ঢোল?


পশুর থেকে কোনো দিকে তোরাও কম নাই
ফেসবুকে পোস্ট করার আগে ভেবে করিস ভাই।"