ও গো মেয়ে শোন বলি হবে তুমি শুধুই আমার?
প্রথম যেদিন তোমায় দেখি শীত গোধূলির শুভ ক্ষণে।
সেদিন থেকেই কবি আমি প্রেম দেবতার ভাষা জানার,
তুমি যখন দৌড়ে গেলে পুকুর পাড়ের ফুলের বনে।


ঝরনাচপল রূপটি তখন মুগ্ধ হয়ে দেখছি আমি,
তুমিও তখন ফুলের উপর ভ্রমর নৃত্য দেখতে রত।
বাক হারিয়ে ভেবেছিলাম, "একি রূপ গো জগতস্বামী!
যে মোহনায় শান্ত নদী হচ্ছে স্রোতে ক্ষতক্ষত!


দৈববাণী বলেছিল, " হইও না গো শান্তিহারা,
তেষ্টা পাওয়া হরিণ শাবক আর নিওনা মধুরণে।
দুষ্টু পাখির চটুল বরে ফের হইও না পাগলপারা,
মন বাগানের বিষের বাঁশি বাজিও না এ নির্জনে।"


দৈববানী মানতে গিয়ে সেদিন থেকেই পাথর জপি,
সাগর জীবন তবু দেখি নদীর আশায় রই তাকিয়ে।
লালসাতে বারেবারে ভস্ম মাঝে ঘৃত সঁপি,
তাতেই বাঁশে ঘুণ ধরেছে তবুও বাঁশ যাই ঝাঁকিয়ে!