যে মৃদঙ্গ- মন্দনের অধীর পরাণকারা উত্থানে
লাঙল চষতে গিয়েছি, সেই তাল ভিন্ন সুরে বাজে
কখনো বুঝিনি আমি চাষটা মোটেও সহজ নয়
তবুও সে কথা ভুলে মহানন্দে চষে চলি জমি
হিতাহিত জ্ঞান খুঁয়ে চষতে চষতে ঘনিয়ে এনেছি
সফেন চাদরে ঢাকা নক্ষত্র বিহীন অমাবশ্যা।
এরপরও সাধ মেটে না। নির্লজ্জের চাঁদোয়া টানিয়ে
চাষাবাদ করি জমি, দেখি না শক্ত কি'বা নরম
অস্ফুট কিবা পতিত, শুধু জমিন হলেই চলে।


বারংবার ডুবে গেছি নরম ক্ষেত চষতে গিয়েই
তবুও লকলকে জিভে করেছি লোলুপ আপাতন
অন্তরীক্ষে চোরাবালি মুহুর্তেই নগ্ন ঢেউ দিয়ে
ভূপতিত করে গেছে স্বভাবের বিবর্ণ পাতাকে।
কিছুটা স্বস্তি নিয়েছি অবশেষে জমিকে প্রণাম করেছি।
এরপর কেঁদে উঠেছি নিজেকে ধিক্কার দিয়ে
বিমর্ষ বদন নিয়ে মৃদুস্বরে বলে উঠি শুধু
চোরাবালির মতোন হারিয়ে গিয়েছে সব শিব।
অথচ এই ক্ষেতেই হতে পারতো মোর আরাধনা
এমনকি হতেও পারতো আমার পাপ মুক্তির গঙ্গাস্নান।