কুমার নদীর পাড় দিয়ে আমি
খেলেছি কত না খেলা,
এই নদী পাড়ে কেটেছে আমার
অবুঝ মধুর বেলা।


এই নদী জলে কেটেছি সাঁতার
সীমাহীন অবসরে,
হরেক স্মৃতির ভরাট সোপান
এঁকেছি মনের ঘরে।


কুলকুল করে মনে আজো বয়
আগের মতই রুপ,
ঘাতকের হাত নদীর শোভায়
ফেলে গেছে স্তুপ।


মন কাঁদে তাই দেখে এই রূপ
উদ্ভাস শিহরণ,
বুকের পাঁজরে রক্তিম ক্ষত
গেঁথে গেছে আমরণ।


নদী ঘেঁষে কত গড়েছে দালান
রকমারি আবাসন,
মরা নদী দেখে তীর বিঁধে বুকে
কেঁদে ফিরি সারাক্ষণ।


ফের যদি ফিরে আসতো আবার
জোয়ারের উচ্ছাস,
নদীর বুকেতে পাল তুলে ভেসে
বেড়াতাম বারোমাস।


করুণার সুরে মিনতি জানাই
আহ্বান হৃদয়ের,
বাঁচাতে নদীর জেগে ওঠো যত
এলাকার শমসের।


এ নদী আমার পিতার মতন
এ নদী আমার ভাই,
নদীর স্রোতে পূণরায় ভেসে
শিশু কালে যেতে চাই।