বলতে পারো নারী জাতির দুঃখ কবে ঘুচবে?
এই ধরাধাম কবে থেকে নারীর ব্যথা বুঝবে?
কবে জ্বালা ঘুচবে?
বহু পাশব ব্যভিচারে
কতো নারীর জীবন হারে!
পথেঘাটে কতো নারী
নিত্য করে আহাজারি,
সেসব কবে বুঝবে?
কবে জ্বালা ঘুচবে?
ভেবে দেখো তোমার বোনটি করলে শোকের শব্দ
এক নিমিষেই বুকটা তোমার হবে যেমন জব্দ,
তেমনি সবার শব্দ।
তার ভাইয়েরও তেমনি করে
বোনের শোকে বক্ষ পোড়ে
বোন ভেবে তাই পরের বোনকে
কবজা করলে নিজের মনকে,
তবেই জ্বালা মুছবে,
তবেই জ্বালা ঘুচবে?
নারী হলো মায়ের জাতি, নারীর থেকেই জন্ম
নারীর মাঝেই মৃত্যু আছে নারীর মাঝেই ধর্ম,
জানবে সে সব কর্ম?
গুরুর কাছে সে সব আছে
জানতে চলো গুরুর কাছে,
জানলে পাবে অমূল্য ধন
তাতেই শান্ত হবে যে মন,
তখন সবই বুঝবে
তখন জ্বালা ঘুচবে।
ভ্রষ্ট হয়ে তোমার মেয়ে করলে করুন ক্রন্দন
তোমার মনে তখন কি আর থাকবে সুখের বন্ধন?
করবে তখন ক্রন্দন?
নাকি তখন এমন করে
হাসবে আপন বদন ভরে?
বলবে হেসে, "ধ্যাত্তুরি ছাই
এতে করে আমার কি ভাই?
নাকি রেগে ফুটবে?
নাকি মাথা কুটবে?
ভাবো যদি সমল থাবা হৃদয় যাবে থমকে
নিগূঢ় ভাবে যদি ভাবো উঠবে তবে চমকে,
হৃদয় যাবে থমকে!
যদি ভাবো চক্ষু খুলে
বিবেকটাকে উদ্ধে তুলে,
তবেই কেটে যাবে জ্বরা
নবরূপে হাসবে ধরা,
নতুন আলো ফুটবে
নতুন সূর্য উঠবে।