কেউ করিতেছে সেলাইয়ের কাজ
কেউ রেল লাইনে কুলির,
কেউ মাজিতেছে বাসন-কোসন
কেউ শিল্পী তাঁতি ঢুলির।


কেউ শক্ত হাতে ধরিছে কোদাল
কেউ'বা হাতুড়ি-বাটাল,
কেউ অট্টলিকা নির্মাণে নিয়োজিত
কেউ খনন করিছে খাল।


কেউ যান্ত্রিক শহরে বাহক সেজে
বহিছে মানুষের বোঝা!
চাকর-বাকর আর দারোয়ানী করা
কাজ নয় মোটেও সোজা।


অফিস আদালতে পিয়ন সহকারী
হোটেলে রাঁধুনি মেচিয়ার,
গুদাম গ্যারেজ আর দোকানপাটে--
এটা ওটা প্রদানের কারবার।


কামার কুমোর মুচি কৃষক জেলে
জমিদার বাড়ির রাখাল মালি,
দিন আনে দিন খায় জীবন বাঁচায়
সঞ্চয় কই তাঁর? দুই হাত খালি।


তারপরও তোমাদের চোখ রাঙানি
নানাভাবে করো জুলুম নির্যাতন,
তোমরা শ্রমিকের দেহ থেকে রক্ত চুষে
একশোতে একশো বাড়াও ধন।


কেউ কোনদিন আজও দিতে পারোনি
শ্রমিকের একফোঁটা ঘামের মূল্য,
শ্রমিকেরা দেশ জাতির মূল কারিগর
তবুও তাঁদের'ই করো তুচ্ছতাচ্ছিল্য!


রাজপথে দলে দলে বড়ো ব্যানারে
শ্রমিক দিবসের গাও জয়গান,
আগে পিছে থাকা সব বাকী ক'টা দিন
শ্রমিকের প্রতি দেখি না সে টান!


তোমরা তো খাও রোজ কাচ্চি পোলাও
শ্রমিকেরা খায় নুন ভাত খিচুড়ি,
যাঁদের শ্রমে গড়ে ওঠে তোমাদের প্রাসাদ
তাঁদের দিতেই হবে ন্যায্য মজুরি।