তুমি এসেছিলে কচুরিপানায় ভেসে খড়ো স্রোতের মাঝে,
আশায় বাধবে ঘর খড়কুটার ওই সাজে ।”
কাজল বরন আঁখি, সাদা লাল পাড়ের শাড়ি জড়ানো গায়ে ।”
খোলা দারে দারিয়ে প্রতিক্ষার পথ চেয়ে ণূপুর পরে দুপায়ে ।”
আসবে শত ক্রোশ দূর থেকে বরন করবে মায়ার জালে,
মনের যৌবনে হাজারো কাননের ফুল হাসে ভালোবাসার তালে ।”
সখা গেছে গভীর সমুদ্রে পাল হাতে জিবিকা আহরনে,
চিড়া খই আর মিঠাই নিয়ে শীতল পাটিতে বসে, সখি সপ্ন আঁকে জাগরনে ।”
হঠাৎ বর্জের হুংকার প্রলয় তান্ডপের উঠেছে নাচ,
আত্কে উঠা সখির মন ভেংঙ্গে আঁচ ।”
ঘরের প্রদীপ গেলো নিভে,মন শান্ত নেই তার মাঝে ।”
পড়ে গেলো আহারের পাত্র, দিশেহারা মনের মানুষ খুজে ।”
ভোরে আসলো দলবল নিয়ে, তার সখা চিরো ঘুমিয়ে ।”
দুনয়নে মুছে গেলো কাজল, আশা গেলো ফুরিয়ে ।”
স্তব্দ হলো গগন হারিয়ে গেলো দুকূল,
অজান্তেই নিস্তেজ হয়ে ঝড়ে পড়লো কাননের শুকনো ফুল ।”