কবিরা প্রকৃতির কথা বলে,
প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে খেলা করে
নানান উপমায় নানান রঙ্গের ছবি আঁকে।
প্রেম -প্রকৃতির একাত্ম মিলনে
নির্জনে প্রেমিক-প্রেমিকার কথা বলে।
ফসলের ক্ষেতে কৃষানের কথা,
ক্লেষাক্ত ঘর্মাক্ত শরীরে
শ্রমিকের নিষ্ঠুর শ্রমের কথা বলে।
কখনো কল্প সুখের কথা বলে
মুঠে-মুজুর-দারিদ্রের দীনতার কথা বলে।
তাদের কলমে তীব্র ঝড়ের মতো
নির্মম তম রহস্য পাঠক কাতারে ফুটিয়ে তোলে।
কবিরা কখনো কল্পনায় ভাসে
কখনো বাস্তবতায় নেমে আসে।
কবিরা যুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত
দুর্বার সৈনিকের কথা বলে।
তারা নতুন প্রানের সঞ্চার করে।
আপামর জনতার-
অধিকার আদায়ে আগ্রাসী
সংগ্রামের কথা বলে।
আমি তাদের কাতারে বহুবার যেতে চেয়েছি
তাদের গাম্ভীর্যে আমার ঠাই মেলে নি।
আমার কবিতায় সহস্র প্রানের হুংকার
জন কোলাহলে বিপ্লবের জন্ম দেয়নি।
কবিতা হবে রণাঙ্গনের প্রান্তরে প্রান্তরে
সৈনিকের বুকের রক্তে সাদা পাতা লাল হবে।
কৃষাণের ঘামের ফোঁটায় ফোঁটায়
দারিদ্রের দীনতার অশ্রুজলে
কবিতার খাতা সিক্ত হবে।
অধিকার আদায়ে আপামর জনতার ভীড়ে
সবুজ প্রান্তর ধুলোটে হবে।
কোথায় সেই কবিতা?
কোথায় সে সকল কবি?
মননশীল চিন্তা চেতনার অভাবে
বাক-স্বাধীনতা হীনতায়
সব কবিদের ছুটি।
এ কবিদের আর দেখা মেলে না।