আমার ধরনী


ধরনীর বুকে জন্ম নিয়েছি আমি;
আমি ধরণীর এক প্রাণ।
ধরণীর কোলে লালিত আমি;
আমি ধরণীর সন্তান।
ধরণী আমার জননীর মত
পাতিয়া রেখেছে আঁচল;
দুঃখ বেদনায় শান্তনা হয়ে
রেখেছে আমায় ছায়াতল।


আমার সুখে মেলিয়া ধরেছে
ধরণীর যা সঞ্চিত;
হেসে খেলে আমি কুড়াব সবি
ধরণীতে বাঁচি যত।
আমার তরে সেজেছে ধরণী
কত সব সোভা করে;
আমি খচিব সেই সোভাকর
আমার জনমের অধিকারে।


মিছে কেন তোরা বাঁধিছ আমায়
জাতী-বিজাতীর শিকলে;
অসীম ধরণীরে সসীম করেছ
দেশী-বিদেশীর বেড়াজালে।
ধরনী আমার আমি ধরনীর
এ এক সু-ষম বন্ধন;
দেশী-বিদেশীতে ধরনী আমারে
কখনো করেনা বিয়োজন।


আমি জানিনা হিন্দু-মুসলিম
আমি জানিনা খ্রিষ্টান;
আমি চিনিনা ভারত বাংলা
আমি চিনিনা পাকিস্থান।
আমি চিনি আমার ধরণী
আমার জীবন আল্পনা,
আমি চিনি ধরনীর কোল,
চিনি না তার সীমানা।


আমি মানিনা তোদের পাষাণ নীতির
যত সব দুরাবরণ,
আমি ছিরিব ধরণীর বুকে গড়া
শিকলের সব শক্ত বাঁধন।
আমি ভেদিব তোদের বহ্নী শিবিরের
যত সব বাধা ব্যবধান,
আমি গড়িব আমার ধরণী
গাব জীবনের জয়গান।
                       -বজ্রধ্বনী