শেষ আষাঢ়ের ঊষা লগনে
ঘুম থেকে জেগে খোলা বাতায়নে
চেয়ে দেখি, দূর-নীলিমায়,
দু’ফালি ঘন মেঘ ভাসিছে সেথায়।


মুক্ত নীলীমারো উচ্ছাসে,
চঞ্চলা হরিনীরা উড়ে উল্লাসে,
কালো আর ধলোয় হয়ে একাকার
আড়াল করিয়া রবি, ঘনালে আঁধার।


সহসা যেন কার খেয়ালে
দূরন্তমনা, দিগন্তের স্বপ্ন ভুলে
মন্থর করি গতি জোর কদমে
ভাবে পূবালীতে যাবে, নাকি পশ্চিমে।


সম্মুখের দশদিক রয়েছে খোলা,
তবুও মেঘ রাশি যেন পথ ভোলা।
পুলকিত মন কার হুংকার শুনে,
পূর্ব-পশ্চিম পথের জবনীকা আনে।


কদমে কদমে তাঁর সাজায়ে বেড়ি
পবন শন শনে ছোটে প্রলয় গড়ি;
পাষাণীর তান্ডবে মন্থর গতিবেগ,
বজ্রের গর্জনে কেঁদে ফেলে মেঘ।


আঁখি জল তার বাদল ধারায়,
ঝর ঝর করে ঝরে পরে আঙ্গিনায়।
আমি কান পেতে শুনি সেই কান্নার ধ্বনি,
কেঁদে কেঁদে বলে মেঘ বিরহীনী।


“মিছে বাসনায় জন্ম লয়ে ভূবনের জলে,
মধুর স্বপ্ন বুনি নীলিমার কোলে;
নিমেষেই মুছে ফেলে সব চাওয়া-পাওয়া,
পবনের ডাকে ছুটে চলা, আর বজ্রে ঝরে যাওয়া।”