একদা নামাজ পড়ে,
মসজিদের ঐ না মোড়ে,
চাচাকে পাইয়া সেথায়,
বলিলাম একায় একায় ।
চাচাগো, গভির রাতে
বাজার থেকে বাড়ি যেতে,
জনা কয় নেশার পাগল,
সাথে লয়ে নেশার বোতল,
পুলেরই কাছে না এসে,
ঝোপেরই মাঝে না বসে,
বোতলের ঐ না দারু
খাওয়া গো করবে শুরু,
খাওয়া শেষে মাতাল হয়ে,
বোতলগুলো সেথা রাখিয়ে
ঐ সালা মদারু বেটা,
বাড়ির দিকে জুরবে হাটা,
যাবি তুই যা বাড়িতে,
তা ছাড়ি চলতি পথে,
পরনের লুঙ্গী খুলে,
মাথায় না রাখিয়া জুলে,
যত সব খারাপ বুলি,
করিয়া গানের কলি,
গাইবে তা আপন সুরে
সে কি গো জোরে জোরে ।
বল তা যায় কি সহা !
এটা না  অন্যায় মহা !
তাই আজ বলছি তোমায়,
নিশারই রাত্রি বেলায়
বাঁশের ঐ ঝোপের তলে,
আমরা সব থাকিয়া পলে,
মদারু ঐ না বেটায়,
বড় বড় জিগের নলায়,
এছাই মার মারব কিনে,
ছেচাই দৌর দৌরেবে ক্ষণে ।


যেই না এই বুদ্ধি করা ,
চাচায় কয় সাজাও দোর্রা ,
তোদের সাথে আমিও আছি,
অমনি সব নেংটি খিচি,
বড় বড় জিগের নলায়
আমরা সব দোর্রা সাজাই।


ধিরে ধিরে এমনি করে ,
যবে না রাত গভিরে ,
তখনি সবাই মিলে ,
বাঁশেরই ঝোপের তলে ,
দোর্রার গোড়ায় বালু মেখে ,
সেথায় ধরে তৈরী থেকে ,
পথের পানে রইনু চায়া ,
গা ঘামিয়া পরছে  বয়া ,


চাঁদ ডুবিবার পর ক্ষণে ,
মদারুর কন্ঠ শুনে ,
চাচায় যেই দেয় ইসারা ,
কুহিনু মাররে দোর্রা ,
অমনি সব সটা সট ,
মারিল খটা খট ,
দু-চার ঘা না মেরে ,
যবে না আস্তে ধিরে ,
লুটিয়ে পরা ঐ-না বেটায়
সকলে লাঠির গুতায়
যেই না পুছিনু কি-রে
চাচায় কয় অবাবারে;
পালিয়েছে মদারু বেটা
করলি তোরা চাচা পেটা ।
              -সংকেত