একাকীতে কোন ক্ষনে
থাকি যদি বিজনে
ব্যস্থ জীবনের কর্মহীনা ;
অচেনা কোন সুরে জানি
ঝংকার তুলি আপনি-
ঝঞ্জার ঝাঁজে, বাজে মনবীণা।


বাজে বীণা বাজে, বাজে রিনিঝিনি,
বিচলিত আঁখি ধায়, নাচে ধমনী
আনচান করি কালনাগিনীর মতো ;
গোপনে পুষিত পুঞ্জ পিয়াসে-
নিভৃতে অনন্ত আনন্দ আভাসে-
সেই সুর করে ধ্বনিত।


দিকে দিকে খুঁজি তাঁরে-
কে বুলালে বীণার তারে
অমন মধুভরে বাজে বীণা,
মনের গহীন কোণে-
ঢেউ তোলে গোপনে-
প্রেমময় মোহনীয় বাসনা।


সহসা মনে পড়ে,
হৃদয় উজার করে
একবার হেসেছিলে ম্লান,
মনে পরে ধুসরে-
সেই বাধিয়া মায়া ডোরে-
কেড়ে নিয়ে গেছে মন-প্রাণ।


সেই যে কবে এসেছিলো-
আবার সে চলে গেলো;
মনে পড়ে সে মধুর স্মৃতি,
পলকে দেখে তারে
এঁকে মন মুকুরে-
গেয়েছিনু এই সুর-গীতি।


আজ সে যে কাছে নাই-
একাকি থাকি তাই-
বিরহের ব্যথা বুকে সীমাহীন,
যত কাছে ডাকি তাঁরে-
সে তো যায় দূরে সরে
চঞ্চল মন হয় উদাসীন।


তারে ভেবে সারাক্ষন,
ছলিত স্বপনে দু’নয়ন,
ছেয়ে যায় হৃদয় আঙ্গিনা ;
মনের কুঞ্জে বসি
ঢেউ তোলে দিবা-নিশি
বাজায় বীণ, সেই মনবীণা।
                    -মনোবীনা