উদয়ের প্রান্ত পেরিয়ে-
অন্তের নীল সীমানায়,
ডানা মেলে উড়ে উড়ে
আমি এক নিরন্ত গাঁয়।


কাঁটাবন, গিরিপথ, গহ্বর ঘুরে-
সচল “সজীব মরুপারে” ভর দুপুরে-
আমি ক্লান্ত, সয়েছিতো শত অনাচার,
হতাশায় ভরি, ঝেরে ফেলে আবার-
সু-দূ-র পথে দু’পদের চিহ্ন আঁকি-
সম্মুখ দিগন্তে আঁখি মেলে দেখি,
ছায়াহীন ধু-ধু প্রান্তর জুড়ে
পবনের কানাকড়ি, অগ্নিবর্ষা ঝরে;
তিলে তিলে পুড়ে মরে সবুজ ঘাসে !
নিরন্তর তাপিত রৌদ্রের ত্রাসে-
শুকায়ে গেছে নদীভরা জল !
সেথা খুঁজি আমি ছায়াতল।


সেথা আমি অতিদৃঢ় দূর-দর্শনে
কোমল আলো খুঁজি, শীতল পবনে-
সুরভিত জীবনের অনন্ত বাসনায়
মরাডালে বসে থাকি মতনে,
উড়ে চলা মেঘ খুঁজি গগন কোণে।


কোথা পাব মেঘ, কোথা পাব জল,
কোথা পাব তরু, কোথা ছায়াতল !
তপ্তের উত্তাপে যেথা তাপিত খেলা,
শ্যামল মায়ায় সেথা সবুজের অবেলা।
সেথা তাপিতের তপ্ত নিঃশ্বাস বায়
সুশীল জীবনের মিছে বাসনায়-
নিরন্তরের অন্তরে, অন্তরে গড়ে মিতালী,
নিভে যায় বুঝি মোর স্বপ্নের দীপালী।
                              - উড়ো চিঠি