হীরা মানিক, মুক্তায় জান
সাত রাজারই ধন,
পরশ পাথরে জানলে তুমি
মূল্য হীনার মতন।


পাথর ভেবে পাহাড় চূড়ায়,
কাঁেচর মত ধূলি কণায়
পথে-ঘাটে হেলায় খেলায়,
গুড়িয়ে তারে থাকো,
কখন তাহার কেমন কায়া
কোথায় কখন করছে ছায়া,
ঢালছে কারে হূদেয় মায়া
জানতে চাইলে নাকো ।


পরশ পাথর পাথর যে না-
মূল্য দিয়ে যায়না কেনা-
তাই বলে নয় মূল্যহীনা-
এই ভবনী পারে;
তাঁরে তুমি চেননা ঠিক,
খুঁজলে শুধু হীরা মানিক,
সারা জীবন সাজলে বণীক,
ধনের পূজা করে।


অবোধ তুমি, পেয়েও যারে
ফেলছ ছুরে পথের ধারে
বলছে না সে  গর্ব করে-
মূল্য যে তার কত;
যে জন চেনে সে কি ধন,
খুঁজছে নাসে মানিক রতন,
পাগল হয়ে তার অন্বেষণ,
করছে অবিরত।


ভোজন সুজন ভুলছে তারা,
দিবস যামি ক্লান্তি ছারা,
সাধন মনে বেদন ভরা,
তাহার কির্তন গায়;
ভবপারে চলতি পথে,
বি-ভ্রমনে ব্যকুল চিত্তে,
শূন্য হাতে পূর্ণ পেতে
একটু পরশ চায়।


চিত্ত মরু সর্বক্ষণে
তার পিপাসার চাতক বনে,
ধ্যানে সাধক শোধন হলে
দুব্বা ঘাসে বিন্দু জলে
চিনতে পেরে ধরতে গেলে
পায়না ধরা তাও;
পথ হাঁটা ঐ পথের শেষে
ধরতে পেলে  অবশেষে
বলছে সে যে হেসে হেসে
আমায় চিনে নাও।